অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ওড়িশা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করল ওড়িশা পুলিশ। ভিন রাজ্যের পুলিশের হাতে গ্রেফতার পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় এক মহিলা সহ তিনজন। ওড়িশা পুলিশ সূত্রের খবর, উদ্ধার হয়েছে তিনশো দুই গ্রাম ব্রাউন সুগার। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।


পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় বাসিন্দা এক মহিলা এবং আরও  ২ জন একটি ছোট চারচাকা গাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ওড়িশায় ঢুকেছিল। ওড়িশার জলেশ্বরে ব্রাউন সুগার নিয়ে যাওয়ার সময় জলেশ্বর থানার পুলিশের হাতে আটক হয় ওই তিনজন। জলেশ্বর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল যে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে তিনজন ওড়িশায় ঢুকছে। একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তখনই পুলিশ সন্দেহ করে ওই গাড়িটি আটকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০২ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দুই জন পুরুষ এবং একজন মহিলা রয়েছে যাদের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে উড়িষ্যা বালেশ্বরের এসপি সাগরিকা নাথ।


আগে কলকাতাতেও উদ্ধার:
গত কয়েকদিন আগেই কলকাতার বেহালায় উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক। ঠাতই পুলিশকর্মীদের একটি সন্দেহজনক গাড়ি নজরে পড়ে। দাবি, তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটির ভিতর থেকে ৬টি ব্যাগে ৬০-৬৫ কেজি গাঁজা মিলেছে। এই বিপুল পরিমাণ মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল? কোথায়ই বা যাচ্ছিল? পাচারের চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায়? সবটাই খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত শহরে মাদক উদ্ধারের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তার মধ্যে গত অগাস্টের একটি ঘটনায় ঘুম ছুটে যায় তদন্তকারীদের। সে বার পার্সেলের  মোড়কে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে খাস কলকাতায় পোস্ট অফিসে পৌঁছয় মাদক। রেভ পার্টিতে তা পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ। 


হইচই আগেও:
অগাস্টের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হন দুই মাদক পাচারকারী। উদ্ধার হয়েছিল ৫৪ গ্রাম এলএসডি যার বাজার মূল্য ছিল কয়েকলক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, শহরের রেভ পার্টিতে সরবরাহের জন্য গোয়া থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাদক অর্ডার করেছিলেন শহরের বাসিন্দা দুই যুবক। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ মাদক আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের নাম ফৈয়াজ আলম ও মহম্মদ জুনেইদ। সন্দেহ এড়াতে পোস্ট অফিসে ডেলিভারি নেওয়া হয়। তবে এই নিয়ে আগে থেকে কলকাতা পুলিশের কাছে খবর ছিল। সেই পার্সেল এসে পৌঁছলে পোস্ট অফিসে তা নিতে আসেন ফৈয়াজ ও জুনেইদ, খবর পুলিশ সূত্রে। দাবি পার্সেল নিয়ে বেরোতেই কলকাতা পুলিশের হাতে পাকড়াও হন দুই মাদক পাচারকারী।


আরও পড়ুন: '২ নম্বরে ছিলাম, ২ নম্বরে থাকারই সম্ভাবনা', হার মানলেন দিলীপ?