নয়াদিল্লি: দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে হেফাজতে নিল সিবিআই। এদিন তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং। আপের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে আম আদমি পার্টির সদর দফতরের বাইরেও কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপি দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান আপের কর্মী, সমর্থকরা।  


হেফাজতে নিল সিবিআই: রবিবার টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপ মুখ্য়মন্ত্রীকে। এদিন মণীশ সিসোদিয়াকে আদালতে পেশ করা হয়। মণীশ শিসোদিয়াকে ৫ দিনের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানায় সিবিআই। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সিবিআইয়ের দাবিতে মান্যতা দেয় আদালত। মণীশ সিসোদিয়াকে ৫ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।                                              


দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়াকে গ্রেফতারের ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে আম আদমি পার্টি। ভোপাল, চন্ডীগড়, দিল্লিতে চলছে বিক্ষোভ। দিল্লিতে আপের সদর দফতরের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়ান আপ সমর্থকরা। গোটা দিল্লি জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিল। সিবিআই-এর দাবি, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই সিসোদিয়া এবং দিল্লি সরকারের অভিযুক্ত আধিকারিকরা আবগারি নীতি ২০২১-'২২ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেন্ডার পেয়ে যাওয়ার পর অন্যায় ভাবে কিছু লোককে সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল তাঁদের।                                        


সম্প্রতি মণীশের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেইসময় তল্লাশি চালানো হয় সাত রাজ্যের আরও ৩১ জায়গায়। সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ অভিযুক্তদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে নাম রয়েছে মণীশের। ১১ পাতার রিপোর্টে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্র এবং ভুয়ো নথি তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে। মণীশের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়। লুক আউট সার্কুলার জারির অর্থ, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কোথাও কোনও নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে তাঁকে আটক করা হবে সঙ্গে সঙ্গে। তাতেই কেন্দ্রকে একহাত নেন মণীশ। ট্যুইটারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেন তিনি। 


আরও পড়ুন: SSC: 'আন্দোলন করায় চাকরি হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়' মানল স্কুল সার্ভিস কমিশন