সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: বর্ষা (Monsoon) প্রবেশের পর থেকেই উত্তরবঙ্গে (North Bengal ) ভয়াবহ পরিস্থিতি।  গত দুদিন ধরে প্রবল বর্ষণে সিকিমের (Sikkim) একাধিক জায়গায় ধস সহ হরপা বান! আর তাতে কার্যত অবরুদ্ধ সিকিমে একাধিক রাস্তা৷ শুধু উত্তর সিকিমেই আটকে পড়েছেন অন্তত দু হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রবল বর্ষণের কারণে উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং ইয়াংথাম ভ্যালির সঙ্গে বাকি এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ। বৃষ্টির কারণে সেই কাজও ব্যাহত হচ্ছে বলে খবর। জলস্তর বেড়ে রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রাতভর উদ্ধার কাজ চলে।                           


বিআরও প্রকল্প স্বস্তিক-এর করমযোগীরা প্রবল বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই বন্যা কবলিত ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী পারাপার তৈরি করতে রাতভর কাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানান হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ধসের কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ। ছাঙ্গু লেক, নাথুলা, বাবা মন্দিরের মতো জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলি যাওয়ার সংযোগকারী রাস্তা জওহরলাল নেহরু মর্গের কাছেও ধস নেমেছে। শুধু দেশই নয়, বিদেশেও বহু পর্যটক সেখানে আটকে আছে বলে খবর।


সিকিম সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল এখনও অন্তত ২,৪৭৫ জন পর্যটক এই উত্তর সিকিমের বিভিন্ন হোমস্টে এবং হোটেলে আটকে আছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে সিকিম সরকারের কুইক রেসপন্স টিম, সিকিম পুলিশ, জিআরইএফ-সহ সেনা।


শুক্রবার উত্তর সিকিমে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের পারমিট পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। শুধু আজই নয়, আগামী কয়েকদিন তা দেওয়া নাও হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় কবে তা দেওয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে হবে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারি বৃষ্টির সতর্কতা। হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। 


 


আরও পড়ুন, শনি, রাহু ও কেতু একসঙ্গে পিছিয়ে যাচ্ছে, এই ৩ রাশিকে ৬ মাস সাবধানে থাকতে হবে