কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দিনক্ষণ ঘোষণার পর মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। মনোনয়নের (Nomination) শুরুতেই খুন। কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
'যাদেরকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদেরকে কিছুদিন পরে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবে'
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'যার প্রাণ চলে গিয়েছে, তার প্রাণ তো আর ফিরে আসবে না। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা, এই প্রথম দিন একটা খুন হয়ে যাওয়াতে, সমস্ত বিরোধী যারা, সেই জেলার অন্তত লোক আছে, তাঁদের মনে একটা ভীতির সঞ্চার হবে। এবং হয়েছে। এবার ..যাদেরকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদেরকে কিছুদিন পরে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবে। আবার জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।'
'একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে'
এরপরেই তিনি বলেন, 'একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিজেপি এর প্রতিরোধ করবে। প্রয়োজনে লড়াই করব। যেখানে যেখানে হিংসার আশ্রয় তৃণমূল কংগ্রেস নেবে, সেখানে হিংসার উত্তর কীভাবে দিতে হয় ভারতীয় জনতা পার্টির তা জানা আছে', বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সুকান্ত মুজমদার। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের মনোনয়নের প্রথম দিনেই খুন গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মীকে। পঞ্চায়েতের ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই ঝরেছে প্রাণ।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
বৃহস্পতিবার বিকেলে, পঞ্চায়েতে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় মনোনয়ন পত্র জমা করা। আর বিকেলেই ঝরে রক্ত। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের রতনপুর অঞ্চলে বাড়িতে ঢুকে গুলি করা হয় কংগ্রেস কর্মীকে। আহত হয়েছেন তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীদের ৪ জন।তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবার ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
দুষ্কৃতী-যোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল
এরপর মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআরে অভিযুক্ত ১৫ জনের মধ্যে ধৃত ২ জনের নাম রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল খুনের পর, কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির কাছেই চাঁদের বিলের মাঠে লুকিয়েছিল ২ অভিযুক্ত। রাতেই খড়গ্রাম থানার পুলিশ তাদের সন্ধান পায়। যদিও দলীয় কর্মী বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুনের প্রতিবাদে আজ জেলাজুড়ে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। দল ও নিহতের পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে। যদিও দুষ্কৃতী-যোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। ঘটনা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।