মুর্শিদাবাদ: রাজ্যে পঞ্চায়েতের ভোটের (Panchayat Poll 2023) দিন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই ঝরল প্রাণ। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ (Murder Case)। শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, হামলায় জখম ১ মহিলা-সহ আরও ৪ কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ কংগ্রেসের।


তবে 'তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়', অভিযোগ অস্বীকার রাজ্যের শাসক দলের (TMC)। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে বাড়িতে ঢুকে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবারের। তৃণমূলের কেউ একাজ করেনি, অভিযোগ অস্বীকার রাজ্যের শাসক দলের।'ব্যক্তিগত আক্রোশ, নাকি অন্য কোনও কারণে খুন? তদন্ত করে দেখা হচ্ছে'অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে, জানালেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার।


প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও একের পর এক রাজনৈতিক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছিল। আর এবার রাজ্যে পঞ্চায়েতের ভোটের  দিন ঘোষণার মধ্য়েই ফিরল সেই দৃশ্য। এর আগে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকেও (Tapan Kandu) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছিল। একটি গুলি তাঁর পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, আরেকটি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।


কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। পাশাপাশি ঘটনার দিন কয়েক পরই নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দির সঙ্গে ঝালদা থানার আইসির কথপোকথনের অডিও ভাইরাল হয়েছিল। এই ঘটনার পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। 


অপরদিকে, পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেছিল এক দুষ্কৃতী। ঘটনায় খুনের তদন্ত শুরু করেছিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। খুনের দু’দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্যুটার অমিত পণ্ডিত, মূল ষড়যন্ত্রকারী অমিতেরই আত্মীয় বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিত-সহ ৩ জনকে। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


এই মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী বাপির জামিন মঞ্জুর করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি। বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ। ৫ মাসের মধ্যে মূল অভিযুক্ত জামিন পাওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।