উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগেই চব্বিশের লোকসভা ও ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বিজেপি (BJP)-তৃণমূল (TMC) দুই যুযুধান দলের ২ হেভিওয়েট নেতা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে হারানো জমি ফিরে পেতে গ্রাম বাংলার ভোটকে টার্গেট করতে চাইছে সিপিএম- (CPM)। তাতে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। 


পুরনো ভিতে নজর বামেদের


বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। তার দু'বছর বাদে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্য়েই এই দুই বড় ভোট নিয়ে টার্গেট বাধতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। বামেরা আবার অন্য় কৌশল নিয়েছে। বিধানসভায় শূন্য় হয়ে যাওয়ার পর, তাদের নজর এখন পঞ্চায়েত ভোটের দিকে। গ্রাম বাংলার দিকে। এ যেন অনেকটা গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার মতো কৌশল। ২০১৯-এ ১৮টি আসন পাওয়ার পর, গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়লেও, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য় নেতৃত্বের সামনে আরও বড় টার্গেট বেধে দিয়েছেন অমিত শাহ। আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজের কাটমানির অভিযোগ কিংবা নিয়োগ দুর্নীতি, নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল আবার ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, গত ভোটের রেকর্ড ভাঙতে চাইছে ! তবে সিপিএম এখনই অতদূরের কথা না ভেবে, আপাতত বাংলার মাটিতে নিজের ভিত পুনরায় শক্ত করতে চাইছে।


সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, 'আগেই বলেছি বিজেপি তৃণমূল সমঝোতা করে চলে। ওরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল। একজন বিধানসভা নেবে, একজন লোকসভা। পঞ্চায়েত তাহলে আমাদের হবে। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ জবাব দেবে।' বঙ্গ রাজনীতিতে গ্রাম বাংলার ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনেই রাজ্যে প্রথমবার বাম সাম্রাজ্যে ফাটল ধরেছিল। আর তার তিন বছরের মধ্য়ে বিধানসভা ভোটে গোটা সাম্রাজ্য়ই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল!


আরও পড়ুন- 'ও তৃণমূলের লক্ষ্মী, ও বিজেপিতে যত থাকবে, ততই বিজেপির অবস্থা খারাপ হবে', নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা অভিষেকের


তাই এবারের মিনি বিধানসভা ভোটে গ্রাম বাংলার মানুষ কী রায় দেয়, আগামী দিনের কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত গ্রামের মাটি থেকে উঠে আসে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। 


আরও পড়ুন: Summer Lifestyle: গরমে সুস্থ থাকতে মানতেই হবে কোন কোন নিয়ম? রইল টিপস