কেশপুর: কেশপুরের (Keshpur) গোলার পঞ্চায়েত সদস্যা মঞ্জু দলবেরা। তাঁর স্বামী অভিজিৎ দলবেরা, তৃণমূলের বুথ সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করেন। থাকেন ভাঙা ঘরে। ফিরিয়ে দিয়েছেন আবাস যোজনার সাহায্যের প্রস্তাব। মঞ্চে তুলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বললেন, এঁদের দেখে তৃণমূল করি বলে গর্ব হয়। 


গত দশ বছর ধরে বুথ সভাপতি অভিজিৎ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল, মঞ্জু দলবেরা শাশুড়ির। কিন্তু, সেই বাড়ি তাঁরা নেননি। কেশপুরের সভায় মঞ্জু দলবেরা এবং অভিজিৎ দলবেরাকে মঞ্চে ডাকেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বলেন, “যাঁরা দেখায় তৃণমূলের  বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য ফুলে ফেঁপে উঠেছে, এদের দেখে কী মনে হয়? অভিজিৎ দলবেরার মায়ের নামে আবাস যোজনায় ঘর বরাদ্দ করা হয়। মঞ্জু বলেছিলেন আমি ঘর নেব না। বৃষ্টি হলে ঘরের চাল চুঁইয়ে জল পড়ে। ১০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে ঘর চালায়। এক ছেলে, এক মেয়ে।’’


কেন নিলেন না বাড়ি?


মঞ্জু দলবেরা জানান, “এই জন্যই নিইনি যে ওই টাকা আমাদের কোনও কাজে লাগবে না। যে টাকা ছেলে মেয়ের জন্য রেখেছি, সেটা বাড়ির জন্য দিয়ে দিলে ওদের মানুষ করতে পারব না।’’ এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এঁরাই আগামীদিনে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের মুখ।’’


অন্যদিকে, এদিন কেশপুরের সভায় শেখ হসিরুদ্দিনকে স্টেজে ডাকেন অভিষেক। একইসঙ্গে জানিয়ে তৃণমূল কেন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শেখ হসিরুদ্দিন যুক্ত নন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আবাস যোজনার বাড়ির লিস্টে নাম এসেছে। তাঁকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে আধার সহ সব নথি জমা করতে বলা হয়েছিল। তাতে হসিরুদ্দিন বলেছিলেন, বাড়ির টাকা নেব না। ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাড়ি বানাতে লাগবে। আরও ৩ লক্ষ টাকা লাগবে বাড়ি বানাতে। সেই খরচা করলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারব না। এই হচ্ছে বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি। আর বিজেপি এমনভাবে বাংলার মানুষকে দেখায়, যে বাংলার মানুষের থেকে দুর্নীতিগ্রস্থ আর কেউ নেই। এই হসিরুদ্দিনের মতো মানুষই আগামীদিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের মুখ হতে চলেছে। এই লোকেদেরই স্বীকৃতি দেব। করে কম্মে খাওয়ার লোকেদের দিন শেষ। এরা আমাদের গর্ব। আমি গর্বিত এমন একটা রাজ্যে থাকি, যেখানে শেখ হসিরুদ্দিনের মতো মানুষ রয়েছেন।’’ এদিন একইসঙ্গে শেখ হসিরুদ্দিনকে আশ্বস্ত করে তাঁর মেয়ের বিয়ের সব দায়িত্ব নেওয়ার কথাও জানান অভিষেক।


আরও পড়ুন: South 24 Parganas: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাসন্তী, বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ, জখম চার