প্রকাশ সিনহা, শিবাশিস মৌলিক , বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা : ' চাকরি বিক্রির কোটি কোটি কালো টাকাকে সাদা করতে, ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক ভুয়ো কোম্পানিকে । বেনামি সম্পত্তি কেনা, বিনিয়োগ, টাকা পাচারের মতে কাজে এই সব কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) । ' ইডির ( ED ) চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে ইডির দাবি, ' চাকরি বিক্রির কালো টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুল তৈরিতেও '
পিংলায় ( Pingla ) বিশাল স্কুল। নাম, বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। BCM অর্থাৎ বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ( Babli Chattopadhyay Memorial School )। ২০২২-এর ১৪ সেপ্টেম্বর এই স্কুলেই ম্যারাথন অভিযান চালায় ইডি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হয় স্কুলের মালিকানা সংক্রান্ত নথি । এ নিয়ে আদালতে আগেই ইডি দাবি করেছিল, ' নিয়োগ দুর্নীতির মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রীর নামে তৈরি বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল ( BCM International ) স্কুলে। কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। '
আরও পড়ুন :
'গ্রেফতারির সময় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের Nearest ও Dearest বলে দাবি করেছিলেন পার্থ' দাবি EDর
এবার চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, প্রথমে স্কুলের জমি কেনা ও পরে কনস্ট্রাকশনের জন্য নগদে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মাধ্যমে। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের এপ্রিলে এই স্কুলটি তৈরি হয়। BCM ইন্টারন্যাশনাল নামে এই স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকেও এর আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
২০২১ সালের দ্বিতীয় ভাগে মেয়ে-জামাইকে নিয়ে প্রথমবার এই স্কুলে আসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ২০২২-এর জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার একাই এই স্কুলে যান পার্থ । ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, জমি কেনার পর থেকে, নির্মাণসামগ্রী কেনা থেকে লেবার পেমেন্ট, সবই করা হত নগদ টাকায়।