কলকাতা: স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মন্ত্রিত্ব গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এ বার বিধানসভায় পরিষদীয়মন্ত্রী হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরটি (Partha Chatterjee)। এর আগে ওই ঘরের বাইরে থেকে পার্থর নামের ফলকও খুলে ফেলা হয়েছিল (West Bengal Assembly)। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘরটি বন্ধই থাকবে বলে জানা গিয়েছে।


বিধানভবনে বন্ধ করে দেওয়া হল পার্থর ঘর


বিধানসভার ভবনে এতদিন পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থর জন্য ওই ঘরটি বরাদ্দ ছিল (SSC Recruitment Scam)। কিন্তু মঙ্গলবার সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই নিয়ে এ দিন বিধানভবনে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Biman Banerjee) প্রশ্ন করা হলে, এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কোনও ব্যাপার নয়। পার্থবাবুর যে ঘর ছিল, তা আমাদের বিধানসভার ঘর। ওঁর নিজস্ব ঘর তো নয়! সেটিতে আমরা সুরক্ষিত রেখেছি। যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ঘরটি ওই রকমই থাকবে।’’


পার্থর জন্য বরাদ্দ ওই ঘরটি কি অন্য কাউকে দেওয়া হবে, অথবা সরকারি কোনও কাজের জন্য কি ব্যবহার করা হতে পারে ঘরটি? প্রশ্নের উত্তরে বিমান বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ওই ঘরটি আমাদের তরফে কারও জন্য বরাদ্দ করা হয়নি। করা হবে কিনা, সে নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও হয়নি এখনও পর্যন্ত।’’


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee : 'জুতো মারতেই এসেছি', জোকা ESI-এ পার্থর দিকে জুতো ছুড়ে ক্ষোভপ্রকাশ মহিলার


স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর নাম উঠে আসে বেশ কিছু দিন আগেই। সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তার পর থেকে রাজ্য রাজনীতি কার্যত তোলপাড়। কারণ পার্থর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্য়াটে হানা দিয়ে কোটি কোটি নগদ টাকা, সোনার গহনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। হদিশ মিলেছে বিপুল টাকার সম্পত্তিরও। পার্থ এবং অর্পিতার যৌথ নামেও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে খবর। 


নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি হেফাজতে পার্থ


এই মুহূর্তে পার্থ এবং অর্পিতা, দু’জনেই ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন। একদিকে, অর্পিতা দাবি করছেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তাঁর সম্মতি না নিয়ে, কেউ টাকা ঢুকিয়ে রেখে গিয়েছিল তাঁর ফ্ল্যাটে। আবার পার্থর দাবি, তিনি এর কিছুই জানেন না। কিন্তু গোটা ঘটনাক্রমে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদল তৃণমূলেরই। কারণ রাজীনতিতে বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন পার্থ। দুর্নীতি মামলায় টানাপোড়েনের জেরে পার্থকে মন্ত্রিপদ থেকেই ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে।