বিশ্বজিত্ দাস, খড়গপুর : বাংলায় কুকথার জনক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে এই ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি (Ajit Maity)। পাল্টা, অজিত মাইতির বিরুদ্ধে, জেলা পরিষদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
বঙ্গ রাজনীতিতে ফের কু’কথার ছড়াছড়ি। কখনও কখনও সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণেরও। একদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক তথা, জেলার কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
কিন্তু কী নিয়ে এই বাগযুদ্ধের সূত্রপাত ?
সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটিতে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা দেহ। ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন অজিত মাইতি।
পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর ও বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ভারতবর্ষের ১১ নম্বর র্যাঙ্ক করা একটি ছাত্র খড়গপুর IIT’তে ভর্তি হয়েছে, সেই ছাত্রকে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা ডিপ্রেশনের গল্প ফাঁদা হচ্ছে। কিন্তু জাস্ট ওঁকে খুন করা হয়েছে। আমার যেটা একশো ভাগ সন্দেহ, বিজেপির কোনও না কোনও স্তরের নেতা, এর সঙ্গে ইনভল্ভ আছে।
এদিন তাঁর উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "বোঝেও না IIT, IIT’র আশপাশেও যায় না। কাটমানি ছাড়া কিছু বোঝে না।"
শুধু তা-ই নয়, তিনি আক্রমণ করে আরও বলেন, "TMC’র এমন ওঁচা নেতা মেদিনীপুরে, আমাদের মেদিনীপুরের বদনাম হয়ে যাচ্ছে। অজিত মাইতির মত কিছু গাম্বাট এখানকার নেতা হয়েছে, দেখলেই চোর চোর মনে হয় চেহারা।"
পাল্টা অজিত মাইতি বলেন, "বাংলায় যদি কুকথার জনক কেউ থাকে, তাঁর নাম দিলীপ ঘোষ। আসলে সবাই যত ওঁকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করে রাখুক, MP করে রাখুক, কিন্তু উনি যে অরিজিনালি খারাপ কথা বলার লোক, অশ্লীল কথা বলার লোক, উনি যে নিজে অসত্, এগুলো সব বেরিয়ে পড়ছে।"
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ বলেন, এই মালটা কত টাকা নিয়েছে জেলা পরিষদে চাকরি দেবে বলে সেসব তথ্য আমার কাছে আছে। দরকার হলে তাঁকেও একবার ঢোকাব, কেষ্টর কাছে পাঠাব।
খড়গপুর IIT’র ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন ; "বিজেপিতে আসুন", তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএমকে আহ্বান সুভাষের