হংসরাজ সিংহ, সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার পাড়ায় (Purulia News) মোষের লড়াইয়ের (Buffalow Fight) আসরে মোষের গুঁতোয় মৃত্যু হল এক দর্শকের। কীভাবে চলছিল নিষিদ্ধ এই খেলা? প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। এক আয়োজককে গ্রেফতার করা হয়েছে (Arrest)।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কাড়া লড়াইয়ের আয়োজন
প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মোষের লড়াই আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মোষের গুঁতোয় মৃত্যু হল এক দর্শকের। মর্মান্তিক ঘটনা পুরুলিয়ার পাড়ার হাতিমারা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল দশটা থেকে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই গ্রামে শুরু হয় মোষের লড়াই। স্থানীয়রা বলেন কাড়া লড়াই। আশপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর লোক জড়ো হন লড়াইয়ের আসরে।
এ দিন সকালে লড়াই চলার সময় আচমকা একটি মোষ দর্শকদের দিকে তেড়ে আসে। উন্মত্ত মোষের সামনে পড়ে যান নডিহার বাসিন্দা রতু বাউড়ি। মোষের গুঁতোয় মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পাড়া ব্লকের বিডিও গৌতম মণ্ডল জানান, ওই এলাকা ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত লাগোয়া বলে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। কাড়া লড়াই এখন নিষিদ্ধ আয়োজকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বার বার একই ঘটনা
চলতি মাসেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পুজো কার্নিভাল চলাকালীন গরুর গাড়ি ফেলে ছুট দেয় বলদ। উন্মত্ত বলদের গুঁতোয় জখম হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এ বার মোষের গুঁতোয় মৃত্যু হল একজনের।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে চলছিল নিষিদ্ধ এই খেলা? প্রশাসনের ভূমিকা নয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাও। আয়োজকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি তাঁদের। সঠিক তদন্ত হবে, দোষীরা শাস্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন বিডিও।
এর আগে, সম্প্রতি রায়গঞ্জে কার্নিভালে বলদের গুঁতোয় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তাতে স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম জড়ায়। যে ক্লাবের শোভাযাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটে, সেই ক্লাবের সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন মৃতের মেয়ে। রায়গঞ্জ থানায় ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাতে গাফিলতির জেরে মৃত্যু, গাফিলতিতে জখম ও একাধিক ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত অপরাধের মামলা দায়ের হয়।