অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর : মেদিনীপুরে (Medinipur) ফের মন্দিরে চুরির (Theft) ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। বাড়ির চৌহদ্দিতে ঢুকে তালা ভেঙে বিগ্রহের সামগ্রী চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েক মাসের মধ্যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন প্রগতিপল্লি এলাকা। এখানকার বাসিন্দা মাইকেল দাসের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার রাতে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। কয়েক মাস আগেই নতুন তৈরি করা বাড়িতে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে এই প্রতিষ্ঠা পর্ব সম্পন্ন করেছিলেন তিনি।


কীভাবে চুরি ?


গতরাতে প্রাচীর ঘেরা বাড়িতে ঢুকে তালা ভেঙে চুরি করে দুষ্কৃতীরা। মাইকেল দাস বলেন, রাতে যথারীতি ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাড়ির বাইরে প্রাচীরের ভেতরে থাকা মন্দিরে তালা ভেঙে চুরি হয়েছে। প্রতিমার মূল্যবান সমস্ত গয়না সামগ্রী চুরি করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা, এমনই দাবি জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন ; মাঝরাতে চুঁচুড়ার বড় কালী মন্দিরে চুরি, খোয়া গেল ৭ ভরি সোনা-রুপোর গয়না


গত কয়েক মাসে মেদিনীপুর শহরে এমন বহু মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে । যা নিয়ে ক্ষুব্ধ শহরবাসী।  


গত মাসে পর পর দুটি মন্দিরে (Temple) চুরির (theft) ঘটনা ঘটে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না-সহ প্রণামির বাক্স ভেঙে টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে রামপুরহাট (rampurhat) থানার আটলা গ্রামে। এর আগে ২০১৯ সালেও এক বার চুরি হয়। বার বার চুরি হওয়ার অভিযোগে প্রশাসনের (administration) বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মন্দিরের সেবায়েতরা।


কী ঘটে ?
বামদেব বাবার কালীতলার কালীমন্দির ও কিছু দূরে বিল্লবাসিনী মায়ের মন্দিরে চুরি হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, বামদেব বাবার কালীমন্দির খুলতে এসে দেখা যায়, মূল দরজার তালা ভাঙা। তার পরই চুরির ঘটনা নজরে আসে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মায়ের প্রায় দেড় ভরি ওজনের সোনার হার, সোনার নাকের গয়না ও প্রণামীর বাক্স থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আবার কিছু দূরে বিল্লবাসিনী মায়ের মন্দির থেকেও সোনার গয়না-সহ অর্থ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। দু-দুটি মন্দিরে চুরির খবর পেয়ে সকালেই আসে রামপুরহাট থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দেখা হয়, কী ভাবে চুরি হয়েছে। মন্দিরের সেবায়েত সাধক বামাক্ষ্যাপারই বংশধর। তিন বছর আগেও এক বার চুরির ঘটনা ঘটেছিল এখানে।


কেন বার বার দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য হচ্ছে বহু মানুষের আরাধনার জায়গা? প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই প্রশ্নে ক্ষোভ উগরে দেন মন্দিরের সেবায়েতরা।