সুনীত হালদার, আমতা: দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি (DVC) থেকে দফায় দফায় ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি (Flood condition worsens) হয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) ও আমতায় (Amta)। আমতায় তো আবার মুণ্ডশ্বেরী নদীর জল ঢোকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গত দুদিন ধরে হু হু করে জল ঢোকার ফলে উদয়নারায়ণপুর ও আমতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। পুজোর মুখে এই ভয়াবহ বন্যার ফলে চরম সমস্যা পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে এই ক্ষতি সামাল দেবেন।
আরও পড়ুন; Malbazar News: RG কর কাণ্ডের আবহেই যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত প্রেমিক সহ ৫
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গল ও বুধবার টানা জল ঢোকার ফলে প্লাবিত হাওড়ার নিম্ন দামোদর এলাকা। দামোদর নদের জল বাঁধ টপকে উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় ঢুকছে। এর ফলে উদয়নারায়ণপুরের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কার্যত বানভাসি। মোট ১১২টি গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। এর ফলে পুজোর মুখে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৪০ হাজার মানুষ।
আমতায় এখনও পর্যন্ত ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হুগলির চব্বিশ পুরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ঝিকিরা,অমরাগুড়ি,ঝামটিয়া,কাশমলি এবং বিমলাকৃষ্ণবাটি এবং থলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলি। এছাড়া আগেই মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলে ভেসে গেথা দ্বীপাঞ্চল ভাতোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া ও চিতনান দুটি পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামগুলি।
উদয়নারায়ণপুরে ৫০টি এবং আমতার ১৪টি জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ওইসব ত্রাণ শিবিরে শুকনো খাবার,পানীয় জল ,শিশুদের খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যে পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছে এনডিআরএফ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। নৌকা এবং স্পিড বোটের সাহায্যে আটকে পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে আজও উদয়নারায়ণপুর হাসপাতাল এবং উদয়নারায়ণপুর থানায় এক কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে আছে। পুজোর মুখে ভয়াবহ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার চাষী এবং মাছ চাষীরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের ক্ষতিপূরণের দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।