দীপক ঘোষ, সমীরণ পাল, আবির দত্ত, ঠাকুরনগর :  মঙ্গলবার হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল-বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে CAA নিয়ে এদিন কিছুই বলননি প্রধানমন্ত্রী।  ফলে CAA কবে কার্যকর হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত অধরাই। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, CAA নিয়ে কি বিজেপি কার্যত শাঁখের করাতে পড়েছে?


পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে CAA নিয়ে দু’রকম প্রভাবই কি এর কারণ? পশ্চিমবঙ্গে মতুয়ারা CAA কার্যকরের দাবিতে সরব। কিন্তু , পাশের রাজ্য, বিজেপি শাসিত অসমের বাসিন্দাদের বড় অংশের দাবি, সিএএ কার্যকর করা যাবে না! কারও মতে,  অসম থেকে তাড়িয়ে দেবে,  সিএএ কার্যকর হলে ওখানে ভোট পাবে না বিজেপি।


এবার ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্য, প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, এবং বর্তমান বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর একসঙ্গে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথির আয়োজন করেছেন। তবে সিএএ নিয়ে অবশ্য দু’জনে গলায় দুই সুর। মমতাবালা ঠাকুরের মতে, ' আমরা সবাই নাগরিক, সিএএ-র কোনও প্রয়োজন নেই। বিজেপি (BJP) ভাঁওতা দেয়। '

আরও পড়ুন :


১১০ টাকা ছাড়াল কলকাতায় পেট্রোলেরদাম, ৯৫ ছাড়াল ডিজেল


সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর জানালেন, ' সিএএ হবেই। এতদিন ধরে করোনা-লকডাউন ছিল। তাই হয়নি। আমি মোদি ও অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলেছি, ২৪-এর মধ্যেই হবে। ' 


২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। রাজ্যসভায় তা পাস হয় ১১ ডিসেম্বর। ১২ ডিসেম্বর CAA’র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০২০-র জানুয়ারি মাসে তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু, এখনও তার রুলিং জারি হয়নি। অর্থাৎ নিয়ম-নীতি ঠিক হয়নি। 

এরাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে, ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, ঠাকুরনগরের সভা থেকে অমিত শাহ বলেছিলেন, ভ্যাকসিনেশন শেষ হলে,তারপরই নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে। গতবছর জুলাই মাসে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ সংসদে জানতে চেয়েছিলেন, CAA’র কাজ কত দূর এগিয়েছে? কবে এর নিয়ম-নীতি প্রকাশ করা হবে? জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, CAA’র নিয়ম-নীতি ঠিক করতে আরও ছ’মাস সময় লাগবে। 


এর জন্য সংসদে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। শেষ অবধি কবে কার্যকর হবে CAA? সেটাই দেখার।