পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (shraddha walker) ছায়া (reflection) বারুইপুরের (baruipur) প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী (ex naval officer) খুনে! দেহ (body)  টুকরো টুকরো (mutilated) করে ২দিন ধরে ফেলা হয় পুকুর ও জঙ্গলে, জেনেছে পুলিশ। স্ত্রী-ছেলের হাতেই বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী খুন, দাবি তদন্তকারীদের! টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর মা-ছেলেকে (mother son) গ্রেফতার (arrest) করল পুলিশ।


তদন্তে জানা গেল... 
তদন্তকারীদের দাবি, স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে বচসা চলাকালীন হঠাতই ধাক্কা দেওয়া হয় ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে। তিনি তাতে মাটিতে পড়ে গেলে গলা টিপে খুন করা হয়। তার পর নিথর দেহ ৫ টুকরো করে ২ দিন ধরে পুকুর-জঙ্গলে ফেলা হয়েছিল, জেনেছেন তদন্তকারীরা। সাইকেলে করে নিয়ে গিয়ে ফেলা হয় দেহাংশগুলি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাথা-সহ দেহের উপরের অংশ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথমে কিছু জানা নেই বললেও টানা জেরার মুখে খুনের কথা কবুল করেন মা ও ছেলে। খুনের অভিযোগে দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।


কী ঘটেছিল?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীরা দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছিল সকাল থেকেই। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছিল, শ্বাসরোধ করে প্রথমে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য সার্জিক্যাল কাটার দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করা হয় দেহ। মাথা-সহ দেহের ওপরের অংশ প্যাকেটে মুড়ে ফেলে যাওয়া হয়। কিন্তু মৃতের দেহের বাকি অংশ ও হাত-পায়ের খোঁজ এখনও মেলেনি। গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তি। ১৫ নভেম্বর বারুইপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। কে বা কারা, কেন খুন করে এভাবে দেহাংশ ফেলে গেল, তা প্রথমে স্পষ্ট হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরে পুকুর থেকে উদ্ধার হল প্রাক্তন নৌসেনার দেহাংশ। মাথা থেকে বুক পর্যন্ত উদ্ধার হলেও, কোমর থেকে বাকি অংশের খোঁজ মেলেনি। খুন করে দেহাংশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন মৃতের পরিবারের লোকজনই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বারুইপুর থানা। কিন্তু তার পরই যে এরকম কিছু জানা যাবে, সেটা বোধহয় কল্পনাও করেননি কেউ।  


আরও পড়ুন:দক্ষিণবঙ্গের দুঃখ ছিল, পাহাড় নেই। তৃণমূল নেতার বাড়ি গেল টাকার পাহাড় দেখা যাবে: সেলিম