কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) হস্টেল (Hostel) খোলা নিয়ে জটিলতায় এবার হস্তক্ষেপ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister Bratya Basu) ব্রাত্য বসু।    প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্যকে (Vice Chancellor) ফোন করলেন শিক্ষামন্ত্রী। জানতে চাইলেন,  ‘কেন হস্টেল এতদিন বন্ধ? সেইসঙ্গে তিনি বলেন,   অবিলম্বে খোলা হোক হস্টেল। 


সূত্রের খবর,  প্রেসিডেন্সির উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রীকে বলেন,  ‘হস্টেল খুলতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়ও, কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছে না। কোনও শিক্ষক হস্টেলের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। পড়ুয়াদের আচরণের জন্যেই এই অবস্থা। ’


উল্লেখ্য,  ক্লাস শুরু হলেও, ১ মাস ধরে বন্ধ প্রেসিডেন্সির (Presidency University) হিন্দু হস্টেল (Hindu Hostel) । গতকাল দরজা ভেঙে হস্টেলের দখল নিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। 


রাজ্যের অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এক মাস আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। কিন্তু হস্টেল খুলছিল না। এই অভিযোগ তুলে কার্যত হস্টেলের দখল নিলেন পড়ুয়ারা। গতকাল সন্ধের পর দেখা যায়, পড়ুয়ারা দরজা ভেঙে কার্যত দখল করে নিয়েছেন হিন্দু হস্টেল। হস্টেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক রক্ষী বলেন, ওঁরা জোরে দরজা ধাক্কা দিয়েছে, দরজা ভেঙে গিয়েছে। যাতে কারোর বিপদ না হয়, দরজা গায়ে না পড়ে তাই বাধ্য হয়ে নিরাপত্তারক্ষী খুলে দিয়েছেন। এদিন দেখা যায় হস্টেল সংলগ্ন মাঠে বসে পড়ুয়ারা কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ খেলছেন। সল্টলেকের হস্টেল এবং হিন্দু হস্টেল খোলার জন্য আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু সেই আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। 


২০২০ সালে করোনার (Corona) ধাক্কায় বন্ধ হয়েছিল হস্টেলের দরজা। গতকাল দেখা যায়,পড়ুয়ারা নিজেদের ঘরের তালা খুলে ভেতরে ঢোকেন। এক পড়ুয়ার কথায়, "আমরা ২৮ নম্বর দিন ডিন স্যারকে ঘেরাও করি। উনি ২৪ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পরে আমরা ডিও স্যারকেও ঘেরাও করি। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে কোনওভাবে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। তাঁরা কোনওরকম আলোচনায় আসছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই সবাই মিলে হস্টেল দখল নেব। আমরা এখানেই থাকব।'' প্রেসিডেন্সির হিন্দু হস্টেল বয়েজ হস্টেল। তবে এদিন ছাত্রদের হস্টেল দখল পর্বে দেখা যায় ছাত্রীদের। এক ছাত্রীর কথায়, এটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন, হস্টেল ফিরে পাওয়ার জন্য। 


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI