আবির দত্ত, কলকাতা: খুন নয়, আত্মঘাতীই (Suicide) হয়েছে কসবার স্কুলের (Kasba School Student Death) দশম শ্রেণির ছাত্র, এমনই খবর সূত্রে। প্রাথমিক ভাবে এমনই ধারণা ফরেন্সিকের, আরও জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অঙ্ক পরীক্ষার প্রজেক্ট না দেওয়ায় দুর্ব্যবহার করেছিল মৃত ছাত্র। স্টাফ রুমে ডেকে ২ মিনিট দাঁড় করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। তার পরেই ক্লাসে না গিয়ে ছাদে চলে যায় সে, লালবাজারে ইমেল করে এমনই দাবি কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
গত কাল, কসবার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলে ৫ তলা থেকে পড়ে গিয়ে ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় মানসিক চাপ দেওয়া হত তাকে। তার পরই স্কুলের ৫তলা থেকে পড়ে ওই মৃত্যুর ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছিল পড়ুয়াকে। মৃতের পরিবার প্রশ্ন করে, 'কান থেকে রক্ত, হাড় ভাঙেনি, তাহলে কীভাবে উপর থেকে পড়ে মৃত্যু? ৫ তলাতেই বা কী করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?' তাঁদের স্পষ্ট দাবি, 'আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনা নয়।' মৃত ছাত্রের বাবা বলেছিলেন, 'আমার ছেলের স্কুলে দুটো প্রজেক্ট নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ও একটা প্রজেক্ট নিয়ে যায়। গোটা ক্লাসের সামনে ওকে বলা হয় কান ধরো। হয়তো ওর মনে কোথাও দাগ পড়ে গিয়েছিল। এরপর ছেলেটা যে কোথায় চলে গেল স্কুলের কেউ জানতে পারল না। কোনও সিকিউরিটি নেই? এখন বলছে ও ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। এদিকে এর আগে আমাকে ফোনে বলা হয়েছিল যে ও সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। কোনটা সত্যি?'
আরও অভিযোগ...
মৃতের পরিবারের তরফে গত কাল এও জানানো হয়েছিল যে বেতনবৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁদের কথায়, 'করোনার সময় বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় দেখে নেওয়ার হুমকি', হুমকি দেওয়া হয়েছিল স্কুলের তরফে।' প্রসঙ্গত, গত মাসেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্যে। উঠে আসে Ragging-এর মতো বিষয়ও। তার পর থেকে টানা তোলপাড় চলছে। এমনকি, গত কাল, সোমবারই নবান্নে ওই ছাত্রের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই এবার কসবার স্কুলের এই ঘটনা।
আরও পড়ুন:বিক্রমের 3D ছবি তুলল প্রজ্ঞান! কেমন দেখতে লাগছে ল্যান্ডারকে?