প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নথি। সূত্রের খবর, প্রায় ৩ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। যার মধ্য রয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি। মিলেছে কিছু নগদ টাকা ও জমির দলিলও।


উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নথি: এবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে নতুন নথি। ১০ জায়গার তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার মোবাইল, ল্য়াপটপ, হার্ড ডিস্ক। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে মিলবে নতুন সূত্র?  বৃহস্পতিবারই কলকাতার বড়বাজার, মানিকতলা, আলিপুর, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, নারকেলডাঙাসহ মোট ১০ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, সেখান থেকেই ১৪ টি মোবাইল, ৪ টি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক, এবং ৩ হাজার পাতার নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নথি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ টিম তৈরি করেছে ইডি।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে, একাধিক মোবাইল ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়েকদিন আগেই ইডি দাবি করে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের খোঁজ মিলেছে। যে গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন খোদ অয়ন শীল। বৃহস্পতিবার যে মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি থেকে কোনও তথ্য কি মুছে ফেলা হয়েছে? মেসেজের মাধ্যমে কি 'বিশেষ' কোনও বার্তা আদানপ্রদান করা হয়েছে? এইসব তথ্যই যাচাই করে দেখতে চায় ইডি। এর জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ফরেন্সিকের।


বৃহস্পতিবার বড়বাজারে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজেশ দোসির অফিস, মানিকতলা মেন রোডে ব্যবসায়ী সুবোধ সাজেদ ও অশোক জাদুকার বাড়ি, আলিপুরের পার্ক লেনে ব্যবসায়ীর বাড়ি, গণেশচন্দ্র অ্য়াভিনিউয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রভুদয়াল রান্ডারের অফিস, নারকেলডাঙা মেন রোডে প্রভুদয়াল রান্ডারের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এইসব জায়গাতেই হানা দিয়ে এবার একাধিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


এদিকে কলকাতায় ফের টাকার পাহাড়ের হদিশ।আর এবার, প্রতারণার অভিযোগে, নিউটাউন থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করল ED।কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, বিহারের পাটনায় সাইবার জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি FIR দায়ের হয়। অভিযোগ, ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়। তারই তদন্তে উঠে আসে কলকাতার নাম।কলকাতায় আসেন ED-র পাটনা ইউনিটের অফিসাররা। বুধবার রাতে, কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লিতে রবিন্স যাদব নামে এক ব্য়ক্তির ফ্ল্য়াটে হানা দেন আধিকারিকরা। ED সূত্রে দাবি করা হয়, বিহারের বাসিন্দা রবিন্স যাদব প্রতরণার অভিযোগে জড়িত। রাতভর তাঁর ফ্ল্য়াটে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে উদ্ধার টাকার অঙ্কটা ১ কোটি ৮৫ লক্ষ।ওই ঘটনারই তদন্তে, শুক্রবার নিউটাউনের এক আস্তানায় ফের একবার হানা দেয় ইডি। উদ্ধার হয় আরও ৯০ লক্ষ টাকা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: West Bengal News: কোথাও বোমাবাজির অভিযোগ, কোথাও উদ্ধার বোমা, তদন্তে পুলিশ