নয়াদিল্লি : বিজয়ার বিসর্জনের মাঝে শোকের আবহ। মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনে গিয়ে হড়পা বানের টানে নদীতে তলিয়ে গিয়েছেন অনেকে। প্রায় ৪০ জন নিখোঁজ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এখনও। এনডিআরএফ (NDRF) উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জোরকদমে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। বিজয়া দশমীর সন্ধেয় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক যে দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)।


মর্মাহত মোদি


প্রধানমন্ত্রীর অফিস তথা পিএমও-র তরফে ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা জানানো হয়েছে। পিএমও-র পক্ষ ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://twitter.com/narendramodi?ref_src=twsrc%5Etfw" data-type="interlinkingkeywords">পুজোর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।






ঠিক কী হয়েছে


বিজয়া দশমীর দিনে গোটা রাজ্যের মতোই ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জন। বিসর্জনেই সময়ই ধেয়ে আসে হড়পা বান। নিমেষে তছনছ করে দেয় সব কিছু। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ মাল এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপের ও বিভিন্ন চা বাগানের পুজোর প্রতিমা নিয়ে আসা হয়। সেই সময়ই মাল নদীতে হঠাৎই আসে হড়পা বান। যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেককে। শিশু কোলে মহিলা সহ মোট ৩০ থেকে ৪০ জনের নিঁখোজ হয়ে যায় জলের তোড়ে। যে দুর্ঘটনার পরই সেখানে ছুটে আসে এনডিআরএফ। রাতের দিকে অন্ধকার থাকায় প্রথমে কিছুটা উদ্ধারকাজ ব্যাহত হলেও পরে আলোর ব্যবস্থা করে জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।


ইতিমধ্যে অনেকেই উদ্ধার হলেও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান। সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে।


আরও পড়ুন- 'জানিয়েই বাদ', সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে বাদ পড়ে বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়