সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের বেনজির বিশৃঙ্খলা নিয়েও চর্চা চলছেই। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের একাংশের বিক্ষোভের পর চার দিন পেরিয়ে গেছে। কলকাতা হাইকোর্টে ( Calcutta High Court ) বেনজির বিক্ষোভের কারণ খতিয়ে দেখতে আসছেন, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তিনজন প্রতিনিধি। কিন্তু এখনও বিচারপতি মান্থার এজলাসে অচলাবস্থা কাটেনি। অধিকাংশ মামলায় অনুপস্থিত থাকছেন সরকারি আইনজীবীরা। বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছেন না অন্যান্য আইনজীবীদের একাংশ। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে বহু মামলার শুনানি। যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন আইনজীবীদেরই একটা পক্ষ।



 সরকারের অর্থ নষ্ট : বিকাশরঞ্জন


ইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানালেন, ' অনেক মানুষ আসছেন, সেখানে সরকারি উকিলরা না এসে কার ক্ষতি হচ্ছেন? সরকারের অর্থ নষ্ট করছেন।'


বিক্ষোভরতদের পাশেই সৌগত 


অন্যদিকে বিক্ষোভের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ' ক্ষতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু যদি আইনজীবীদের বিক্ষোভ থাকে, এবং সেটা তাঁরা প্রকাশ করেন, তাহলে বলার কী থাকতে পারে ' 
যদিও সরকারি আইনজীবীদের একাংশ কেন এখনও বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন, তার উত্তর নেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছেও। 


হাইকোর্টেও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম


অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে বেনজির বিশৃঙ্খলার আঁচ পৌঁছ গিয়েছে দিল্লিতেও। আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হয়েছে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। রাজ্যে আসছে ৩ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। প্রতিনিধি দলে থাকছেন রবীন্দ্র রায়জাদা, অশোক মেহতা এবং বন্দন কউর গ্রোভার।                            


হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট পেশ করবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।                                   


আরও পড়ুন :


'এক বছর ধরে জল আসে না' সায়ন্তিকার সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাধারণ মানুষ

গত সোমবার বিচারপতি মান্থার যোধপুর পার্কের বাড়ির আশপাশে, তাঁরই বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্ট চত্বরেও। যে পোস্টারে বিচারপতি বেআইনিভাবে যোধপুর পার্কের বাড়িতে বসবাস করছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়। এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থা।