কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) বিক্রি করতে এসে পুলিশের (police) জালে ধরা পড়ল 'অস্ত্র কারবারি' (arms trader)। ধৃত ব্যক্তি অসমের বাসিন্দা বলে জেনেছে পুলিশ। ১টি পাইপ গান-সহ ১টি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে তাঁর থেকে।
কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অস্ত্র কারবারির নাম আলী হোসেন। মঙ্গলবার তাঁকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে বর্ধমান আদালতে পেশ করে করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গুডশেড রোড এলাকায় সোমবার রাতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় বর্ধমান স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে ওই রাস্তা ধরেই আসছিলেন আলী হোসেন আসছিলেন। পুলিশের দাবি, তাঁর কাছ থেকে তল্লাশিতে একটি পাইপগান-সহ কার্তুজ উদ্ধার হয়। কিন্তু তিনি কার কাছে এই কার্তুজ ও পাইপগান নিয়ে যাচ্ছিলেন? বিক্রি করা নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল আলীর? কোথা থেকে এসব জোগাড় করেছিলেন তিনি? এই কারবারে আর কারা-ই বা তাঁর সঙ্গে যুক্ত? জানতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। শুধু বর্ধমান নয়। দিনসাতেক আগে খাস কলকাতায় চলন্ত ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় এক জনকে।
চলন্ত ট্রেনে গ্রেফতারি...
দিন সাতেক আগেকার ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল এক কুখ্যাত 'অস্ত্র কারবারি'। এসটিএফ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে হাবড়াগামী লোকালে অভিযান চালিয়ে ২টি সেভেন এম এম পিস্তল ও ২টি ওয়ান শটার উদ্ধার হয়। কুখ্যাত 'অস্ত্র কারবারি' তপন সাহাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতের বাড়ি হাবড়ায়। এসটিএফ সূত্রে খবর, বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র এনে হাবড়া, অশোকনগর, বাদুড়িয়া, বসিরহাটে দুষ্কৃতীদের সরবরাহ করত তপন। এসটিএফের দাবি, সম্প্রতি এলাকায় ওই অস্ত্র কারবারির দেখা না মেলায় সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের। ফোনের টাওয়ার লোকেশনে জানা যায়, সে মুঙ্গেরে রয়েছে। এরপর গতকাল কলকাতায় ফিরতেই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও হালেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাশীপুর থানা এলাকার উত্তর স্বরূপনগর এলাকা থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আশিক আজম গাজি নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয় ওই ঘটনায়। এবার ঘটনা পূর্ব বর্ধমানে।
আরও পড়ুন:ঘর-কল, কিচ্ছু পাইনি, কবে পাব! আদিবাসীদের প্রশ্নে মমতা বললেন, রোজ ঝগড়া করছি