রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: পুরনো সিম বদলে, নতুন সিম নিতে লাগে ৫০ টাকা। কিন্তু সেখানে নেওয়া হয়েছে সাড়ে ৮০০ টাকা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়, BSNL অফিসের এক কর্মীর বিরুদ্ধে এরকমই মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন এই ব্যক্তি। এমনকী, অভিযুক্ত বিএসএনএল কর্মীর অভিযোগ তিনি একা নয়, বিএসএনএল অফিসের বেশির ভাগ কর্মী বিনামূল্যের সিমকার্ডও ৫০ এবং ১০০ টাকায় বিক্রি করছে। 


কাটোয়ার অভিযোগকারী ও বাসিন্দা অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, "পুরনো বিএসএনএল সিমটি খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য বিএসএনএল অফিস থেকে নতুন সিম আনতে যাই। সেই সময় এক মহিলা কর্মী ৮৫০ টাকা নেন। এরপর তিনি বিএসএল দপ্তরে গেলে, সেখানকার আধিকারিকরা বলেন যে ৮৫০ টাকা নয় মাত্র ৫০ টাকায লাগে।" ৫০ টাকার সিম দিতে, কেন সাড়ে ৮০০ টাকা নেওয়া হয়েছে? অভিযুক্ত BSNL কর্মী অনিমা গুহর কাছেও জানতে চান অভিযোগকারী। তখন অদ্ভূত এক দাবি করেন মহিলা কর্মী। যা ভিডিও করে রাখেন অভিযোগকারী।  


অভিযুক্ত ওই বিএসএনএল কর্মী অনিমা গুহর যুক্তি, "আমি ৫০ টাকা নিই। বিএসএলকে ৮০০ টাকা দিই। সংস্থা যাতে উন্নতি করে সেই জন্যই নিই।এখানেই শেষ নয়, নিজের দোষ আড়াল করতে কয়েকজন সহকর্মীর দিকেও আঙুল তুলেছেন এই কর্মী। আমি একা নই বিএসএনএলের অনেক কর্মী ফ্রী সিম ৫০-১০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। যদিও অন্য কর্মীরা তা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য নিজে বাঁচতে এখন কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।


আরও পড়ুন, রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়, অর্থ দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই


বিএসএনএল-এর আরেক কর্মী তরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, "সব মিথ্যা, নিজে বাঁচতে একাজ করেছেন। আমাদের কাউন্টার থেকে কোনও অসৎ উপায়ে কোনও সিম বিক্রি হয় না।" এদিকে, গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে BSNL কর্তৃপক্ষ। সংস্থার সাব ডিভিশনাল অফিসার রানা চৌধুরী বলেন, "একটি অভিযোগ পেয়েছি। উনি বলেছেন আমি এসব করিনি। তবে একটি তদন্ত কমিটিও তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই সিমটা বর্ধমান থেকে ইস্যু হয়েছে। ক্রেতাকে যেতে হয়, কিন্তু উনি কর্মী বলে ওনাকে হয়ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।" 


দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে কেন্দ্রীয় টেলিকম সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। সেই সংস্থার দফতরে বসেই সিমের মাত্রাতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক কর্মীর বিরুদ্ধে।