কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: দেড় মাসের মধ্যে বর্ধমান (Burdwan) শহরে সাতটি ফ্ল্যাট ও তিনটি বাড়িতে চুরি! সরকারি ও বেসরকারি আবাসনে হানা দিচ্ছে চোর। কেউ না থাকার সুযোগে সর্বস্ব হাতিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনই অভিযোগ তুলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানালেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। পরিকাঠামো বাড়িয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
পরপর চুরির অভিযোগ। তা নিয়ে আতঙ্ক আর উদ্বেগ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানের সদর শহর বর্ধমানে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর ছুটির সময় থেকে এখনও পর্যন্ত গত দেড় মাসে সাতটি ফ্ল্যাট ও বাড়িতে চুরি হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তালাবন্ধ ছিল ফ্ল্যাট আর বাড়ি। সেই সুযোগেই হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শহরে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আতঙ্কে আছি। চুরির পর পুলিশ এলাকায় যাচ্ছে। থানায় অভিযোগ হচ্ছে। কিন্তু চুরির কিনারা হচ্ছে না। সাধনপুরে সরকারি আবাসনে ৫টি ফ্ল্যাটে চুরি। নবাবহাটের বেসরকারি টাউনশিপের ২টি ফ্ল্যাটে চুরি।
আরও পড়ুন, ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেও চাকরি না মেলার অভিযোগ, দুর্গাপুরে চায়ের দোকান খুললেন দুই ভাই
বাবুরবাগের ইন্দ্রপ্রস্থ ও বাহিরসর্বমঙ্গলা এলাকায় দুটি বাড়ির তালা ভেঙে চুরি। এমন একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের খাতায়। বর্ধমান শহরের বাসিন্দা মৌ প্রধান বলেন, বর্ধমান শহরে পরপর চুরির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি সদস্য কল্লোল নন্দন, "শহরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। বাড়িতে বাড়িতে চুরি হচ্ছে। শহরের নিরাপত্তা কোথায়? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই বর্ধমান শহরে।" অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "অভিযোগ করাই বিজেপির কাজ। পুলিশ নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে। অপরাধীদের ধরবে।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, চুরি রুখতে বর্ধমান শহরে ১৫০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। বাড়ানো হয়েছে টহলদারি ভ্যান ও বাইকের সংখ্যা। বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপ নিয়ে আসা হচ্ছে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে কেউ না থাকলে, পুলিশকে তা জানিয়ে রাখা যাবে।