কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ইচ্ছা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করবেন। সোমবার তাও পূরণ করলেন তৃণমূলনেত্রী। বর্ধমানে (burdwan) সভা করার আগে দেখা করলেন রেণু খাতুনের (renu khatun)সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে (cm) পাশে পেয়ে বিহ্বল তরুণী।  


মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন...
কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? 'দু-তিন মিনিট কথা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলেন, কেমন আছি। আমার খোঁজখবর নিলেন।' তার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন রেণু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন তৃণমূলনেত্রী। বলেছেন, 'বড় হও। এগিয়ে চল। তোমার পাশে আছি।'
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস যে কথার কথা নয় সেটা আগেই বুঝেছেন কেতুগ্রামের রেণু। না হলে আরও কঠিন হত লড়াইটা। সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন তরুণী। স্বামী ভয়ানক অসন্তুষ্ট ছিলেন স্ত্রীর সাফল্যে। চাকরিতে যোগ দিতে নিষেধ করেন রেণুকে। অভিযোগ, কথা না শোনায়  ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর হাত কেটে নেন  যুবক। এর পর হয়তো অনেক কিছুই হতে পারত। হল না। মূলত দুটো কারণে। এক রেণুর লড়াই করার স্পৃহা। দুই, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। 


 



'প্রতিশ্রুতির মমতা'...
রেণু ঠিক করে নিয়েছিলেন হাল ছাড়বেন না। পাশে দাঁড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার কথা জানতে পেরে নির্দেশ দেন নার্সিং স্টাফ গ্রেড ২ পদেই অন্য কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে তরুণীকে। সেই মতোই সবটা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের এক সপ্তাহ আগেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দুর্গাপুরে গিয়ে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। হালে কাজে যোগও দেন রেণু। সেই দিনই বলেছিলেন, 'মা' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। ২৭ জুন পূর্ববর্ধমানে সভা আছে মুখ্যমন্ত্রীর, জানতেন রেণু। 
সেই ইচ্ছাও অপূর্ণ রাখলেন না মমতা। পরিবারের দু-একজনকে নিয়ে আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন রেণু। সভার আগে আরও একবার তাঁকে ভরসার কথা বলে গেলেন তৃণমূলনেত্রী। 


আরও পড়ুন:'২০২৬ না, ২০২৪-এই সরকারকে বিসর্জন', শুভেন্দু-মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক