রাণা দাস, মন্তেশ্বর: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে এক আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ কাজ সেরে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। রাস্তায় এক নির্জন জায়গায় জনাকয়েক দুষ্কৃতী তাঁদের ওপর চড়াও হয়।
অভিযোগ, স্বামীকে মারধর করে ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। একটি পুকুর পাড়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গতকাল সকালে স্ত্রীকে পুকুরপাড়ে অচতন্য অবস্থায় দেখতে পান স্বামী।
গ্রামবাসীদের সাহায্যে প্রথমে তাঁকে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে পরে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে গতমাসে মালদার রতুয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিনজনের বিরুদ্ধে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অবরুদ্ধ রতুয়া-ভালুকা রাজ্য সড়ক। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
অভিযোগ, ওই দিন সকালে টিউশনে যাওয়ার সময় ১৬ বছরের কিশোরীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তিনজন। মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, এরপর নাবালিকাকে গ্রামে ফেলে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। ১৬ সেপ্টেম্বর, রতুয়া থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই, পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
আরও পড়ুন: কলকাতার তরুণীকে পটনার হোটেলে গণধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, অধরা অভিযুক্তরা
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে তরুণীকে হাত-মুখ বেঁধে গণধর্ষণ, ১৫ লক্ষ টাকা-গয়না লুঠ, তদন্তে লালবাজার