রাণা দাস, কাটোয়া: একটা সময়ে ডাকাত দল যে কালী মায়ের পুজো করে ডাকাতি করতে যেত, আজ সেই কালী মূর্তিকে প্রায় পাঁচ কেজি সোনা ও নয় কেজি রুপো দিয়ে সাজানো হয় থাকে। 


সোনার মুকুট, থেকে শুরু করে সোনার সিতা হার, সোনার বালা থেকে শুরু করে সোনা-রুপোর নানান গয়নায় ভরে ওঠে মায়ের মূর্তি। ডাকাতদের হাত দিয়ে শুরু সেই পুজো আজ কাটোয়া শহরের খেপি মায়ের পুজো বলেই বিখ্যাত।



আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে কাটোয়া শহরের ভাগীরথীর তীরে খ্যাপাকালী পাড়া জঙ্গলে ভরা ছিল। কথিত আছে, সেই জঙ্গলে বাস করত এক দুর্ধর্ষ ডাকাত। 


ওই ডাকাত জঙ্গলে কালী ঠাকুরের পুজো করত। ডাকাতি করার সময় কালী মাকে পুজো করে সে ডাকাতি করতে বের হতো। ওই ডাকাতের ভয়ে তটস্থ থাকত বর্ধমান, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন। 


আরও পড়ুন: রঘু ডাকাত নেই, তবু আজও গভীর জঙ্গলে রটন্তী কালী মন্দিরে হয় তাঁর কালীপুজো


আজ সেই জঙ্গলে গড়ে উঠেছে খ্যাপাকালী পাড়া। চারিদিকে জনবসতি। এখন ঝা চকচকে সুবিশাল মন্দিরে  ডাকাতের হাতে পূজিত কালীর পুজো হয়ে আসছে মহা ধুমধামে। 


সোনা ও রুপোর মিলিয়ে প্রায় ১৪ কেজি গয়না পরানো হয় মাকে। কালী পুজোর দিন পুলিশি প্রহরায় ব্যাঙ্কের লকার থেকে সোনা ও রুপোর গহনা আনা হয়। 


আরও পড়ুন: দীপাবলি উপলক্ষে বড় ছাড়, জানুন কোন ব্যাঙ্ক দিচ্ছে কী অফার


পুজোর দুদিন মন্দিরে থাকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। পুজোর দিন শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলার নয়, আশেপাশের জেলা থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় এই মন্দিরে। 


যে পুলিশের ভয়ে ডাকাত সর্দার কালি ঠাকুরকে জঙ্গলের ভেতরে লুকিয়ে রাখত, আজ সেই কালী ঠাকুরকে পাহারা দেয় সশস্ত্র পুলিশ।


আরও পড়ুন: কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন, হাইকোর্টে দায়ের মামলা