কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: অন্য ট্রেনেই ফেরার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি উঠে পড়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchenjunga Express Train Accident)। আর সেটাই কি কাল হল ? রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু বর্ধমানের বাসিন্দার।
রেল দুর্ঘটনার পর স্ত্রীর খোঁজ পেলেন মর্গে
বর্ধমানের গুসকরার বাড়িতে ফিরল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী বিউটি বেগম শেখের দেহ। ৪৩ বছরের বিউটির স্বামী শিলিগুড়িতে কাজ করেন। গতকাল ইদ উপলক্ষ্যে একাই গুসকরার বাড়িতে ফিরছিলেন বিউটি। হলদিবাড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে ফিরবেন ভেবেও ট্রেন না থাকায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ওঠেন ওই গৃহবধূ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে শেষবার কথা বলেছিলেন স্বামী ও পরিবারের সঙ্গে। তারপরেই এই ঘটনা। দুর্ঘটনাস্থল এবং হাসপাতাল ঘুরে শেষপর্যন্ত মর্গে গিয়ে স্ত্রীর দেহ শনাক্ত করেন বিউটির স্বামী।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দায় কার?
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দায় কার? তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা এখন সপ্তমে। প্রতিটা রেল দুর্ঘটনার পর যে ছবি দেখা যায়, তার ব্য়তিক্রম হল না সোমবারও। সকালে দুর্ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পৌঁছোন রেলমন্ত্রী।আর বিকেলে সেখানে যান মুখ্য়মন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্য়পাল আবার একই বিমানে রওনা দেন।রাজ্য়পাল আনন্দ বোসের সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে বিমানে রওনা দেন তাঁর স্ত্রী এল এস লক্ষ্মীও।সোমবার সকালে দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আসেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখান থেকে বাইকে চেপে দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী।
কোনওভাবেই এটা রাজনীতির সময় নয়, এখন ফোকাস থাকা উচিত : রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, কোনওভাবেই এটা রাজনীতির সময় নয়। এখন ফোকাস থাকা উচিত উদ্ধারকাজ এবং ব্য়বস্থা পুনর্বহাল করার ওপর। যাত্রীসুরক্ষা অত্য়ন্ত বড় ফোকাসের জায়গা। যেমনটা আপনারা জানেন। পরে এ ব্য়াপারে বিশদে আলোচনা করব।'হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।দুপুরে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্য়মন্ত্রী। বিকেলে উত্তরবঙ্গে পৌঁছোন তিনি।এরপর তিনিও উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যান আহতদের দেখতে।
আরও পড়ুন, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কর্মী ছিলেন, ৬২ বছরে 'এক্সটেনশনে' থাকাই কি কাল হল ফুলবাগানের বাসিন্দার ?
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,রেলে একটা শ্রী ছিল। আজে তো আমি অনেকটা শুনেছি, এটা ক্রিটিসিজম নয়, এটা একান্তই প্য়াসেঞ্জার অ্য়ামেনিটিস এত কমে গেছে, যে যাত্রী নাইট জার্নি করে, এমনকী যেগুলো স্লিপার কোচ, এমন বিছানা দেওয়া হয় শুতে, তাতে নানারকম নোংরা জিনিস থাকে। বাথরুমগুলো পর্যন্ত ক্লিয়ার করা হয় না। খাবারের মানও খারাপ হয়েছে। আর এখন আর বলব কই! রেল ডিপার্টমেন্টও নেই। ওই ডিপার্টমেন্ট মানে ইহাও হয়, উহাও হয়। এখন তো আর রেলে বাজেট নেই। উঠিয়ে দিয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।