রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়া পুরসভার (Katwa Municipality) 'পুর কর্মীরা চোর' বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে কংগ্রেসের কাউন্সিলর ও তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপোকে তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের ধমক, 'নিজের ওয়ার্ডেই কাজ করুন। পরের ওয়ার্ডের কাজ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।' তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ভাইপোর পাশে না দাঁড়িয়ে দাঁড়ালেন তৃণমূলের পুর প্রধানের পক্ষে। তাঁর বক্তব্য, 'কংগ্রেস কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় উদ্দেশ্য নিয়ে পৌরসভার বদনাম করতে চেয়েছে।' অন্যদিকে কাউন্সিলর রনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য তিনি বিরোধী দলনেতা যেখানেই তিনি অন্যায় দেখবেন তিনি প্রতিবাদ করবেন। 


আরও পড়ুন, কী ভেবেছে মেট্রো রেল ? শিয়ালদহ মেট্রো উদ্বোধনে তোপ কুণাল-ফিরহাদদের


'পৌরসভার কিছু কর্মী টাকা নিয়ে মুখ বন্ধ করে রয়েছে', কাটোয়া পৌর এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়িকে ঘিরে অভিযোগ 


ঘটনার সূত্রপাত কাটোয়া পৌর এলাকার পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের কাছারি রোডে একটি নির্মীয়মান বাড়িকে ঘিরে । ৬ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপোর অভিযোগ বেআইনিভাবে ওই বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। আর পৌরসভার কিছু কর্মী টাকা নিয়ে মুখ বন্ধ করে রয়েছে। আজ পৌর কর্মচারীরা কাটোয়া পুরো প্রধানের কাছে অভিযোগ জানায় যে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর  পুর কর্মীদের চোর বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে।  এর পরই পৌর প্রধানের ঘরে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা জেলা সভাপতি ভাইপো রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় এলে পুরোপ্রধান ধমক দিয়ে বলেন আপনি নিজের এলাকার খোঁজ রাখুন অন্য পৌর ওয়ার্ডে কি হচ্ছে সে নিয়ে আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় পৌরসভার বিরুদ্ধে, পোস্ট করা বন্ধ করুন। তবে পৌর প্রধানের ধমকে দমবার পাত্র নন কংগ্রেস  কাউন্সিলার রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়।তিনিও পাল্টা বলেন সাধারন মানুষ পৌরসভায় অভিযোগ করে ফল না পাওয়ার কারণেই তার কাছে এসেছিল তাই তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 


'আমার ভাইপো আমার কথা শুনে চললে সে তৃণমূল করত কংগ্রেসে যেত না'


তবে কংগ্রেস কাউন্সিলর রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো হলেও ভাইপোর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে  কাকা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'পারিবারিক সম্পর্ক আলাদা, আর আমার ভাইপো আমার কথা শুনে চললে সে তৃণমূল করত কংগ্রেসে যেত না। কংগ্রেস কাউন্সিলর উদ্দেশ্য পৌরসভাকে বদনাম করা। পৌর কর্মীদের নামে এইভাবে অভিযোগ করা যায় না। পৌরসভা আইন মেনেই সব কাজ করে। কাকা পাশে নেই, পুর চেয়ারম্যানের ধমক, তবুও  দম্বার পাত্র নয় কংগ্রেস কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তার বক্তব্য  কাটোয়া পুরসভার পুরো চেয়ারম্যান হয়তো ভুলে গেছেন যে তিনি কংগ্রেসের কাউন্সিলর বিরোধী দল নেতা তিনি সব ওয়ার্ডে যেতে পারেন এবং সব ওয়ার্ডের সমস্যায় দেখতে পারেন । যেখানেই অন্যায় দেখবেন একশো বার প্রতিবাদ করবেন। তবে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় নয় এবার তিনি লিখিত অভিযোগ করবেন পৌর প্রধানের কাছে।