কমলকৃষ্ণ দে: বাজ পড়ে (lightning) মর্মান্তিক মৃত্যু মেমারিতে (east burdwan) । এক দিনে মারা (death) গেলেন ৩ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের পদ হেমব্রম, আশা সব্বার এবং মালতি সব্বার। 


কী ভাবে ঘটল?
প্রশাসন সূত্রে খবর, পদ হেমব্রমের বাড়ি মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বড়ল গ্রামে। অন্য দিনের এদিনও স্থানীয় একটি পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন তিনি। হঠাতই বাজ পড়ে। গুরুতর জখম হন পদ। বিষয়টি নজরে আসতেই দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একই দিনে মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বারোয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আশা ও মালতি সব্বারেরও প্রাণ যায় বাজ পড়ে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ধান রোয়ার কাজে যাওয়ার সময় বজ্রাহত হন তাঁরা। দুজনকেই দ্রুত উদ্ধার করে পাহাড়হাটি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ডাক্তাররা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠিয়েছে।


বাজ পড়ে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল...
বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন পূর্ব বর্ধমান প্রশাসন। চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ১৯ জন বজ্রাহত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। গত জুনেও বাজ পড়ে গলসিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। গলসির ওই ঘটনায় জানা গিয়েছিল, একই গাছের তলায় দাঁড়িয়ে থাকায় দুজনের মৃত্যু হয়। তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁদের। শুধু জুলাই মাসেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আর অগস্টের প্রথম দুদিনেই মারা গেলে ৪ জন। জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, গত আর্থিক বছরে বাজ পড়ে ৪৯ জনের প্রাণ গিয়েছিল। উদ্বেগের এই পরিসংখ্যান দেখে বজ্রপাত নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। 


আরও পড়ুন:বিকানের বিল্ডিংয়ে সিআইডি-র তল্লাশিতে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডের অর্থের উৎস কি এখানেই?