কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: 'দিদি'-কে দেখে ইচ্ছাশক্তি বেড়ে গিয়েছে ওঁদের। এখন মনে করেন, চাইলে অতি বড় বাধা অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারবেন ওঁরাও। 'দিদি' মানে রেণু খাতুন (renu khatun)। আর ওঁরা হলেন প্রোমোটিস ট্রেনিং স্কুলের নার্সিং পড়ুয়া (nursing student)। 


রেণু খাতুন ফিরে দেখা...


নার্সিংয়ে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন কেতুগ্রামের (ketugram) বাসিন্দা রেণু খাতুন। কিন্তু স্ত্রীকে চাকরি করতে দিতে রাজি হননি স্বামী। অভিযোগ, সেই নিয়ে রাগারাগির জেরেই তাঁর রেণুর ডান হাতের কব্জি কেটে দেন স্বামী সরিফুল শেখ। এর পরের গল্পটা অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু হল না। রেণুর হার না মানা মানসিকতা ও মুখ্যমন্ত্রীর (mamata banerjee) পাশে থাকা, দুইয়ে মিলে ফের নতুন করে জীবনটা শুরু করেছেন সাহসিনী। যোগ দিয়েছেন কাজে। 


চাকরিতে যোগ...


মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, রেণুর চাকরি হবে। হয়েছেও। বৃহস্পতিবার বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের কুড়মুন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পোষ্টিং দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে শুক্রবার সেখান থেকে রেণুকে বর্ধমান শহরের জগৎবেড় এলাকায় প্রোমোটিস ট্রেনিং স্কুলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত তিনি সেখানেই কাজ করবেন। তাঁকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সেখানকার জনাষাটেক নার্সিং পড়ুয়াই। রেণুর মুখ থেকে শোনা জীবনসংগ্রাম ও লড়াকু মনোভাব আগামী দিনে তাঁদেরও সাহস যোগাবে বলে জানালেন এএনএম (আর) কোর্সের নার্সিং ছাত্রীরা। ANM(R)কোর্সের নার্সিং ছাত্রীরা। যেমন বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা অনুশ্রী দাস। জানালেন, রেণু খাতুনের ঘটনাটা তাঁরা শুনলেও কাছ থেকে তাঁকে দেখার ইচ্ছা ছিল। শুক্রবার খোদ সেই মানুষটির কাছ থেকেই তাঁর অসীম সাহস এবং মনোবলের কথা জেনেছেন তাঁরা। একই সুর পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদ এলাকার বাসিন্দা নার্সিং কলেজের ছাত্রী পাপিয়া দাসেরও। অন্য দিকে, রেণুও জানাচ্ছেন এখানে এসে তাঁর ফেলে আসা নার্সিং কলেজের দিনগুলির স্মৃতি ফের টাটকা হয়ে উঠছে। 


এখন লক্ষ্য দুটো। চাকরিতে সবটুকু উজাড় করে দেওয়া। আর তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য যারা দায়ী তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা। রেণুর বিশ্বাস, দুটোই পারবেন তিনি। পারতেই হবে তাঁকে। আস্থা রাখছেন নার্সিং স্কুলের পড়ুয়ারাও। 


আরও পড়ুন:রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত ৩,০৬৭ জন, মৃত ৫