রাণা দাস, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়ায় পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত প্রশান্ত মহলদার ও সোমনাথ মাঝিকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। খুনের তদন্তের স্বার্থে ধৃত প্রশান্ত ও সোমনাথকে পাঁচদিনের পুলিশি  হেফাজত চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করে কাটোয়া থানার পুলিশ। আদালত ধৃতদের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।


কী কী নথি?
এছাড়াও পুলিশ স্থানীয় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনার সময় নিহত মিহির পণ্ডিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে চানাচুর কারখানা চত্বরে আশ্রয় নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর ওপর আক্রমণ চালায় দুই দুষ্কৃতী। সেই সময় ওই সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রশান্ত ও সোমনাথ যে মিহিরকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারছে সেই নৃশংস ছবি ধরা পড়েছে। পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা  সিসিটিভির ফুটেজ ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠাবে। বুধবার গভীর রাতে জগদানন্দপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে লাঠি ও রড নিয়ে মিহিরের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল প্রশান্ত মহলদার ও সোমনাথ মাঝি। পুলিশ জানিয়েছে জেরায় দুজনই অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।


কেন এই ঘটনা?
অভিযোগ, প্রতিবেশী এক মহিলার অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে খুন করা হয় মিহিরকে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের নলহাটি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম মিহির পণ্ডিত। বয়স ৪৫ বছর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পাড়ার এক মহিলা তাঁর বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্ম চালাতেন, সেখানে আসা যাওয়া ছিল দুষ্কৃতীদের। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন মিহির। অভিযোগ, রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুই দুষ্কৃতী পথ আটকে তাঁকে রড-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিহিরের। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।


প্রতিবাদ করার মাশুল দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে। নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃতের পরিবার। পুলিশ জানিয়েছিল, ফুটেজ দেখে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: ‘উদ্ধার করতে বলছেন মানে মুখ্যমন্ত্রী জানতেন বেআইনি অস্ত্র রয়েছে’, মমতাকে কটাক্ষ অশোকের