বিটন চক্রবর্তী, ময়না : শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জেলায় খুন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ। ময়না-তমলুক রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। তাঁদের দাবি, ময়নার বাকচা এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত রয়েছে। তাই সেখানে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কেন এমন ঘটল, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিধায়ক অশোক দিন্দা দাবি তোলেন, অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আন্দোলন করছি।


ময়নার বাকচায় স্ত্রী, ছেলের সামনে মারধর করে বিজেপি নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। তিনি বাকচায় বিজেপির ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, গতকাল বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করে, বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।


আরও পড়ুন ; স্ত্রীর সামনে প্রথমে মারধর, ময়নায় বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে গভীর রাতে ময়না থানার সামনে বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিধায়কের অভিযোগ, খুনের পিছনে ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের মদত রয়েছে। যদিও তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের পাল্টা দাবি, এলাকার মহিলাদের মারধর করে বিজেপি নেতার দলবল, তার জেরেই খুন। সঞ্জয় তাঁতী নামে আরও এক বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাতে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।


সংগ্রাম দলুইয়ের বক্তব্য, "এটার সঙ্গে আমাদের দল কোনওভাবেই জড়িত নয়। খুনিদের কোনও রং হয় না। অপরাধীর কঠিন শাস্তি হোক। প্রশাসনের কাছে এনিয়ে অনুরোধ করেছি। আবার বিশেষভাবে করব।"


এদিকে গত ২৯ এপ্রিল বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। আসানসোল পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির আহ্বায়ক ছিলেন রাজেন্দ্র। শনিবার বিকেলে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা স্করপিও গাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রাজেন্দ্রকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই পুলিশি তদন্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে।


আরও পড়ুন ; দিনে ক্ষণিকের ঘুম কি হার্ট অ্যাটাক-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ?