বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: স্থায়ী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। টাকা নিয়েও স্থায়ী চাকরির বদলে মিলেছে অস্থায়ী চাকরি। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ করলেন এক যুবক। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত নেতাকে। 


কী অভিযোগ:
প্রতারিত যুবক অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করে দেওয়া হবে, এই দাবি করে এক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থায়ী চাকরি মেলেনি। তার বদলে মিলেছে ঠিকা শ্রমিকের চাকরি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলদিয়া পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা। যিনি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি হলদিয়ারই বাসিন্দা।     


চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা এবং হলদিয়া পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর প্রশান্ত দাসকে। সম্প্রতি, হলদিয়ার কুমারচকের বাসিন্দা, জাহাঙ্গির হোসেন নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, হলদিয়ার এক বেসরকারি সংস্থায় তাঁকে স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রশান্ত দাস। চাকরি দেওয়ার নামে যুবকের থেকে তিনি ১ লক্ষ টাকা নেন বলে দাবি। কিন্তু, তারপরেও স্থায়ী চাকরি জোটেনি বলে অভিযোগ। কারখানায় ঠিকা শ্রমিকের কাজ পান ওই যুবক। এরপরই, হলদিয়া পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলেরর বিরুদ্ধে দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় প্রশান্ত  দাসকে। কিন্তু সহযোগিতা করেননি তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিষাদল থানার সিআই মানবেন্দ্রনাথ পাল বলেন, 'আরও ইনফরমেশন পাচ্ছি, অনেক ছেলের থেকে বহু টাকা নিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে দেবেন বলে। তদন্ত যত এগোবে, তত তথ্য উদ্ধার হবে। টাকার পরিণাম অনেকটা। বহু মানুষ প্রতারিত। কিছু না হলেও ৮-১০ জনের নাম পাচ্ছি। সংখ্য়াটা আরও বাড়তে পারে।' যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এর পিছনে চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত দাস।

সম্প্রতি হলদিয়ার এক বেসরকারি কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে চাকরি বিক্রি প্রসঙ্গে দলীয় নেতাদের সতর্ক করতে শোনা যায় কুণাল ঘোষকে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই চাকরি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন হলদিয়ার তৃণমূল নেতা। 

আরও পড়ুুন: কড়া নিরাপত্তায় মুড়ল হাওড়া স্টেশন, বন্ধ কোন কোন প্ল্যাটফর্ম?