পূর্ব মেদিনীপুর: গ্রামে পা রেখেই একাধিক অভিযোগ পেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সরকারি প্রকল্প পেতে সমস্যা থেকে শুরু করে জল জমা, পানীয় জলের সমস্যার একগুচ্ছ অভিযোগ অভিষেকের সামনে মেলে ধরেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা গ্রামের বাসিন্দারা। তারপরেই কাঁথির সভা থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিকে ইস্তফার নির্দেশ দেন অভিষেক। 


প্রধানের মন্তব্য়:
ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল বলেন, 'জনগণ বললে ইস্তফা দেব, মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।' অভিষেকের নির্দেশের পরেও এমন মন্তব্য পঞ্চায়েত প্রধানের। 


কী হয়েছিল:
শনিবার কাঁথিতে সভা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে যাওয়ার আগে তাঁর কনভয় থামে মারিশদা গ্রামে। অভিষেককে দেখেই অভিযোগের ঝুলি খুলে বসেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির অবস্থা, রাস্তার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, 'আপনার কী অসুবিধে হচ্ছে, বাড়ি ঠিকমতো হয়নি কেন?' তা শুনেই এক বাসিন্দা বলেন, 'না আমরা পাইনি।' ফের অভিষেক জিজ্ঞাসা করেন, 'বাড়ি পাননি?' তখন ওই বাসিন্দা বলেন, 'না। ওটা হচ্ছে আমার বাবার বাড়ি। বাড়িটা দেখুন স্যর, কী অবস্থা!' তা দেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন, 'এখানে আপনি থাকেন?' তখন ওই বাসিন্দা বলেন, 'আমার বাবা আর আমি। এখানে আমাদের হয়রানি করছে।' এরপর নানা অভিযোগ শোনার পরে কাঁথির সভা থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিকে ইস্তফার নির্দেশ দেন অভিষেক। 


কটাক্ষ বিজেপির:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ,  'সাংসদ রয়েছেন ১৩ বছর, এতদিন পর কেন মানুষের বাড়িতে? ১২ বছর পর সরকারের মনে হল মানুষ কিছু পায়নি! যখন জঙ্গলমহলের লোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে বলছে কিছু মেলেনি। তখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। অনেক দেরি হয়ে গেছে, এখন আর এসব করে লাভ নেই।'


পাল্টা তোপ তৃণমূলের: 
তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মমতা চিরকালই মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতারা সব জায়গায় যান। অভিষেকও গিয়েছেন। অভিষেক কী করেন, সেটা ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে দেখা যায়। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ এ রাজ্যে কারও বাড়ি গেলে কী হয়?'