বিটন চক্রবর্তী, তমলুক: রাত পোহালেই পুরনির্বাচনের ভোট। তার আগে প্রচারপর্ব ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে তমলুক। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। প্রচার শেষের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেই তাই রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকেই তমলুক পুর এলাকার রাস্তায় টহল শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। শনিবার রাতেও নানা এলাকায় টহলদারি করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় জমায়েতও হঠিয়ে দেওয়া হয়। 


বিরোধী শিবিরের দাবি, পুরভোটের দিন তমলুকে বাইরে থেকে দুষ্কৃতী আনতে পারে শাসক দল তৃণমূল। ভোটের সময় দিনভর ঝামেলা করতে পারে শাসক দল, আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এই আশঙ্কায় মহকুমা শাসককে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে। বিজেপির অভিযোগ, তমলুক পুর এলাকার একাধিক হোটেল, গেস্টহাউস এবং নার্সিংহোমগুলিতে বহিরাগতদের এনে জড়ো করেছে তৃণমূল। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। ভোটের দিন তৃণমূল ঝামেলা করতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে।' 


যদিও বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ঝামেলা তৈরি করবে পদ্মশিবিরই। বিজেপি নিজেদের জেলা অফিস প্লাস্টিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে বলে দাবি তৃণমূলের।  তমলুকের বিধায়ক ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, 'সব মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপির জেলা অফিসগুলি ঢেকে দেওয়া হয়েছে কেন? সেটা খোঁজ করা হোক।'      
জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজি জানিয়েছেন, ভোট নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই তমলুক শহরের বিভিন্ন গেস্টহাউসগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কড়া নজরদারিও চলছে। রবিবার শান্তিতে পুরভোট প্রক্রিয়া মেটাতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে।


আরও পড়ুন: বিজেপি-র কার্যালয়ের বাইরে বোমা রাখার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল, উত্তেজনা বর্ধমানে


আরও পড়ুন: ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেও বহিরাগত ইস্যুতে সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা