সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। তার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করল তিন বিজেপি (BJP) কর্মীকেই। ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার। ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা।  


কী ঘটনায় তদন্ত:
গত শনিবারে ঘটনা। পুরুলিয়ার মানবাজার থানার গোপালনগরে এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম ছিল মানস মাহাতো। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বিজেপি কর্মী পুঞ্চা থানার পাঁড়ুই গ্রামের বাসিন্দা। দেহ উদ্ধারের পরে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুনের (Murder) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। তারপর থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে বিজেপি কর্মী খুনে, বিজেপিরই ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


কেন এই খুন?   
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, নেশার আসরে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল হয় ওই যুবকদের। সেখানেই বচসার জেরে খুন হয়েছেন মানস মাহাতো। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন বলেন, 'আমরা প্রথমে একজনকে ধরি। তারপর আরও দুজনের সন্ধান পাই। সবাই একসঙ্গে মদ খাচ্ছিল। সৌমিত্র মানসের মাথায় আঘাত করে। মারা গিয়েছে দেখে ব্রিজের ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়।'


শুরু রাজনৈতিক তরজা:
পুরুলিয়ার জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, 'এর থেকে প্রমাণিত হয় বিজেপির নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে।' তাঁর অভিযোগ, পরিবেশ খারাপ করছে বিজেপি। পাল্টা তোপ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। পুরুলিয়া বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা বলেন, 'পুলিশ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছে ঠিক আছে। কিন্তু কোর্টে প্রমাণ করতে হবে। বিজেপি কর্মী খুনে বিজেপির লোককে ধরে গোষ্ঠীকোন্দল দেখাবে তা চলবে না।'


ধৃত বিজেপি কর্মীদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুরুলিয়া জেলা আদালত। 


আরও পড়ুন:  চোখে ধুলো দিয়ে সাফাই লক্ষাধিক টাকার গয়না