সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: দলের নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ। সেই অভিযোগেই প্রশাসনের দ্বারস্থ তৃণমূলের (TMC) বেশ কিছু নেতা। পুরুলিয়ায় (Purulia) তৃণমূল পুর প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন দলের কাউন্সিলরদের একাংশ। তৃণমূল কাউন্সিলরদের দাবি, না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চেয়ারম্যান। পাল্টা চেয়ারম্যানের অভিযোগ, বিক্ষুব্ধদের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন চেয়ারম্যান।
পুর উন্নয়ন নিয়ে চেয়ারম্যানের কাজে ক্ষুব্ধ খোদ তৃণমূল কাউন্সিলদেরই একাংশ। মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। যা ঘিরে সরগরম তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া পুর এলাকা।
কোথায় দাঁড়িয়ে পুরুলিয়া পুরসভা:পুরুলিয়া পুরসভার ২৩টির মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১৭টি ওয়ার্ড। বাকিগুলির মধ্যে বিজেপির (BJP) দখলে ৩টি, ১টি ওয়ার্ড কংগ্রেসের (Congress) দখলে। বাকি দুটি রয়েছে নির্দলের দখলে। পুরসভায় যে ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১১ জন পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মহকুমা শাসকের কাছে নালিশও জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ:পুরুলিয়া পুরসভায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, 'পুরপ্রধান আমাদের জানিয়ে কিছু করেন না। এসডিও-র কাছে ক্ষোভ জানাতে এসেছি।' পুরুলিয়া সদরের মহকুমা শাসক বিমলেন্দু দাস বলেন, 'কাউন্সিলররা অভিযোগ জানিয়েছেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ চেয়েছি। ঊর্ধ্বতনকে পাঠাব।' যদিও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান। পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল নেতা নবেন্দু মাহালি বলেন, 'সব কিছু জানিয়ে করি। ওরাই বোর্ড মিটিংয়ে আসে না। এর জন্য উন্নয়ন থমকে। মানুষ ওঁদের চেনে না, চেয়ারম্যানকে চেনে।'
বিজেপির কটাক্ষ:চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলররা সরব হতেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলে নিজেদের মধ্যেই কোন্দল হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, 'নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এটা। ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়েই লড়াই।
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে আগেও ৭৫ লক্ষ টাকা জোগাড় ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের, দাবি সিআইডি-র