সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পড়ুয়া আছে, স্কুল ভবন রয়েছে, কিন্তু নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। একজন শিক্ষক থাকলেও পঠনপাঠন না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত অথৈ জলে এখন। পুরুলিয়া (Purulia) ১ ব্লকের তেলেডি জুনিয়ার হাই স্কুলের ঘটনা।
অথৈ জলে পড়ুয়াদের ভবিষ্য়ত: স্কুলের এই অচলাবস্থা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে শিক্ষা দফতর থেকে। স্থানীয় টামনা থানার ওসি পর্যবেক্ষণ করে বিডিওর কাছে রিপোর্ট জমা করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ওই নিখোঁজ ভার প্রাপ্ত শিক্ষক চন্দন দাস তাঁর ওই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুভাষ বাউরির উপর চাপ দিয়ে স্কুল চালানোর জন্য বলেছেন। পুরুলিয়া ১ ব্লকের বিডিও সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলাশাসক(শিক্ষা) কে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
২০১৩-২০১৪ বর্ষ থেকে তেলেডি গ্রামে এই জুনিয়ার হাই স্কুলটি চালু হয়। সেই সময় শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী নিয়োগ, ছাত্র ছাত্রী স্কুলে ভর্তি হয়। সেই সময় থেকে দোতলা স্কুল ভবনে স্কুলে গম গম করত। হত নিয়মিত মিড ডে মিলের রান্না। গত এক বছর ধরে সব কিছুই অনিয়মিত হয়েছে এই স্কুলে। অভিভাবকরা ভার প্রাপ্ত শিক্ষকের আচরণ ও স্কুলের প্রতি দায়িত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে তাঁদের। ৬ কিলোমিটার দূরে নদী পেরিয়ে পুরুলিয়া শহরে সন্তানদের স্থানান্তরিত করতে চেয়েও পারছেন না তাঁরা। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিতে চাইছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। এদিকে শিক্ষকের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জেলার শিক্ষা মহলে।
শিক্ষক হতে চেয়ে, যখন দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। তখন শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কুল। হুগলির হরিপালের বাহিরখণ্ড ডাকাতিয়া খাল পাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। একমাত্র শিক্ষিকা অবসর নিচ্ছেন ৩১শে মার্চ। তাই পয়লা এপ্রিল থেকে স্কুলের ঝাঁপ বন্ধ হবেকী হবে ২৭ জন পড়ুয়ার?প্রশ্ন তুলে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা ব্লক আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীরা। হরিপালের বিডিও জানিয়েছেন, শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকের সংখ্যা কমছে। তাই ব্লক প্রশাসন থেকে ওই স্কুল পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল যে, সেখানে ছাত্র এবং শিক্ষকের সংখ্যা কত। তা নিয়ে ওখানে একটি সমস্যা হয়। পরে অবশ্য মিটেও যায়।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: সুন্দরী, লাস্যময়ীদের যদি বেলঘরিয়া ভাল লাগে... ম্যায় ক্যা করু : মদন মিত্র