অমিতাভ রথ,ঝাড়গ্রাম: কী যেন নড়াচড়া করছে বাগানে? বাড়ির লোকজন যে কেউ নন,সেটা নিশ্চিত। তা হলে কে? বেশি খোঁজাখুঁজি করতে হয়নি। কাছে যেতেই নজরে এল বিশাল এক অজগর (python)। ঝাড়গ্রামের (jhargram) গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার কুঠিঘাটের ঘটনা। দীপক নায়েক নামে এক গৃহস্থের বাগানে ঢোকার চেষ্টা করছিল অজগরটি।
কে তুমি বাগানে?
বাগানের চার দিক মোটা জাল দিয়ে ঘেরা। সেখানেই আটকে যায় সাপটি। কিন্তু না হলে কী হত ভেবে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে নায়েক পরিবারের। অন্তত সাত ফুট লম্বা অজগরটি কী ভাবে কুঠিঘাটের ওই বসতি এলাকায় চলে এল,সেটা অবশ্য ধাঁধা। এদিন বাগানের দিক থেকে সন্দেহজনক নড়াচড়া টের পেয়ে কাছ যেতেই সাপ দেখতে পান দীপকের পরিবারের এক সদস্য। তড়িঘড়ি পাড়াপড়শিদের খবর দেন তিনি। দ্রুত খবর যায় বন দফতরে। অবশ্য সেখান থেকে কোনও সাহায্য পৌঁছনোর আগেই অজগর দেখতে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায় দীপক নায়েকের বাড়ির সামনে। তার মধ্যে থেকেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। সেটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দেওয়া হয়। চিড়িয়াখানার বিশালাকার নতুন অতিথিকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সকলের মধ্যে।
আগেও অজগর-দর্শন
গত বছর সেপ্টেম্বরে বীরভূমের যাত্রা গ্রামে প্রায় কাছাকাছি মাপের একটি পেল্লায় অজগরের খোঁজ মেলে। সদাইপুর থানার অন্তর্গত ওই গ্রামের অজগরটির দৈর্ঘ্যে প্রায় আট ফুট ছিল। গ্রামবাসীরাই সেটি দেখতে পান। চাঞ্চল্য ছড়াতে দেরি হয়নি। তবে গ্রামবাসীরা নিজেরা কোনও তৎপরতা না দেখিয়ে খবর দেন জাতীয় বন্যজীবঅপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাসকে। তিনিই বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে আধিকারিকদের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে থেকে সাপটি উদ্ধার করেন দীনবন্ধু বিশ্বাস।
আরও পড়ুন:প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে কথা বলায় অপবাদ! সালিশি সভা বসিয়ে হেনস্থা! অপমানে আত্মঘাতী ছাত্রী