সমীরণ পাল, বারাসত: উত্তরপাড়ার, কোন্নগরের পর বারাসাত। আরজি কাণ্ডের (R G Kar News) পর পুজো অনুদান নেওয়া হবে না সিদ্ধান্ত নিল বারাসাতের এক ক্লাব। শুধু তাই নয়, অনাড়ম্বরভাবে পুজো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। 


অনুদান প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত: পুজো আসছে। ক্যালেন্ডার বলছে আর মাত্র ৪৫ দিনের অপেক্ষা। বছর ঘুরে ঘরে আসবে উমা। কিন্তু উৎসবে যে রাস্তা রঙিন হয়ে উঠবে আলো আর আলপনায়, সেই রাস্তায় এখন লেখা হচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে দিকে দিকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। আর জি কর-কাণ্ডের আবহে দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদানে 'না' করল সরোজিনী পল্লী কল‍্যাণ সমিতি। এনিয়ে রবিবার পাড়ার লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন এই ক্লাবের কর্মকর্তারা। সেখানেই ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবিষয়ে। শুধু, পুজোর অনুদানে 'না' তেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ক্লাব কমিটি। সেই সঙ্গে এবছর তাঁরা দুর্গাপুজোও অনাড়ম্বরভাবে করতে চলেছে। যেখানে কোনও জাঁকজমক থাকবে না। থাকবে শুধু আরজি করের  নির্যাতিতার প্রতি সহমর্মিতা। এছাড়া,নির্যাতিতা ছাত্রীর উদ্দেশ্যে দুর্গাপুজোতে রক্তদান এবং বস্ত্র বিতরণের মতো কর্মসূচিও নিয়েছে সরোজিনী পল্লী কল‍্যাণ সমিতি। অনুদান চাই না, বিচার চাই স্লোগান দেন বারাসাতের সরোজিনী পল্লি উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা।                              


কোন কোন পুজো কমিটির অনুদান প্রত্যাখান? 


এর আগে, অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে, দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটি। নদিয়ার বেথুয়াডহরি টাউন ক্লাব। উত্তরপাড়ার ৩টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিনই পুজোর অনুদানে না বলেছে উত্তরপাড়া থানা এলাকারই কোন্নগর মাস্টার পাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। টোটোয় মাইক বেঁধে, ফ্লেক্স ছাপিয়ে প্রচার করা হয় মেয়ের বিচারের দাবিতে মায়ের পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যানের কথা। পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যানের রাস্তায় হেঁটেছে মুর্শিদাবাদে লালগোলার মহিলা পরিচালিত কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা পুজো কমিটিও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-মজিলপুরের ৭ ও ১৪ নম্বর পল্লি সর্বজনীন শারদোৎসব কমিটিও পুজোর সরকারি অনুদানে 'না' বলেছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: South 24 Parganas: জেলের চপ্পলের নম্বরে 'লুকিয়ে' ঘরের ঠিকানা, ২০ বছর পর বাড়ি ফিরলেন সুরেশ