উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, অযোধ্যা: প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) ভোরে রামলালার (Ramlala) আরতি। সকাল থেকেই জনজোয়ার। ভিড়ের চাপে অসুস্থ অনেকে। দফায় দফায় দর্শন বন্ধ রেখে ভিড় সামালের চেষ্টা। তবে এরই মধ্যে 'দুঃসাহসিক' কাজ করলেন দুই বঙ্গ-তনয়া।                       


বাড়ি কল্যাণীতে। শুক্রবার রাতেই দুই বন্ধু মিলে ঠিক করেন তারা অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালা দর্শনে যাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শনিবার সকালে স্কুটি চেপে বেড়িয়ে পড়েন দুই বান্ধবী।                                                            


কেন এই সিদ্ধান্ত? 


এক বান্ধবীর কথায়, 'আমরা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম রাম মন্দির যাব। বাড়ির লোক শুনে অবাক হয়েছিল। এতটা রাস্তা আসব চিন্তাতেও ছিলেন তাঁরা। রামের জন্যই ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। শনিবার রাতে বেরিয়েছিলাম। রাত ২টোর সময় কাশীতে পৌছই। এরপরের দিন রাত ১১টায় আসি অযোধ্যায়।'                   


'রামের প্রতি ভালবাসা' 


আরেক বান্ধবী বলেন, 'আমরা কাশীতে এসে আর বিশ্রাম নেইনি। ওখানে পুজো দিয়ে ফের স্কুটি চালিয়ে অযোধ্যা চলে আসি। ঘুম আর হয়নি স্নান সেরে রাম মন্দির প্রাঙ্গনে চলে আসি।  আমরা ভালভাবেই এসেছি। কোনও অসুবিধা হয়নি। গ্রামের মধ্য দিয়ে যে এসেছি, গ্রামবাসীরাও সাহায্য করেছে। রাম আমাদের ভালবাসা। সেই ভালবাসা থেকেই এসেছি এখানে। যজ্ঞ যখন হয় সেই সময় ছিলাম। অনেক ভিড় তবে খুব সুন্দর দর্শন করেছি। আজকের দিন থেকে ফিরব।'   


আরও পড়ুন, সোনা, হিরে,রূপো দিয়ে সাজানো রামলালার গয়না- জামাকাপড় ,কে তৈরি করেছে জানেন ?


গর্ভগৃহেও তুমুল ভিড়। নতুন রাম মন্দিরে ভিড় সামলাতে নামল আধাসেনা। রাস্তায় নামল কমব্যাট ভেহিকল। আজ কাউকে অযোধ্যায় না আসতে আর্জি বরাবাঁকি পুলিশের। ভিড়ের চাপে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, অযোধ্যার প্রায় সব রাস্তাই অবরুদ্ধ। কার্যত বন্ধ যান চলাচল। একটামাত্র দড়ি নিয়ে মন্দির চত্বরে জনস্রোত সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাম পথ থেকেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে মন্দিরের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে দর্শনার্থীদের। গেট বন্ধ করে ভিড় সামাল দেওয়া হচ্ছে।