আবীর দত্ত, কলকাতা : রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Distribution Scam) মামলায় ফের ED দফতরে তলব করা হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে ও প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকে। গতকালও অমিত দে ED আধিকারিকদের ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন। তিনবার জেরার পর ফের চতুর্থবার তলব করা হয়েছে তাঁকে।


বাকিবুর রহমানের মাধ্যমে তিনি টাকা তুলেছিলেন কি না ? রেশন দুর্নীতির টাকায় তিনিও কি লাভবান হয়েছিলেন ? জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotopriyo Mullick) আপ্ত সহায়ক অমিত দে'র কাছে জানতে চান আধিকারিকরা, খবর ইডি সূত্রে।


এর আগে অভিজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি (Central Agency)। ইডি সূত্রে দাবি, অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশিতেই একটি মেরুন ডায়েরির হদিশ মেলে। যেখানে 'বালুদা' নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।


রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও তারপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুরু থেকেই ইডি আধিকারিকদের র‍েডারে রয়েছেন, মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে।


২০১১ সালে খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক হন অমিত দে। ED-র দাবি, নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে অমিতের নামে, আছে রিসর্টও। রেশন দুর্নীতির টাকায় ঢুকেছে অমিতের অ্যাকাউন্টে, দাবি ED-র। 


বুধবার নাগেরবাজারে স্বামী বিবেকানন্দ রোডে অমিত দে'র ভালবাসা অ্যাপার্টমেন্টের তল্লাশি চালায় ইডি। বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পাশাপাশি, তাঁর আপ্ত সহায়কের নাগেরবাজারের জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দেয় ED। স্থানীয় সূত্রে দাবি, প্রথমে নাগেরবাজারের ভগবতী পার্কের পারুল আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন অমিত দে। চলতি বছরের রথের দিন স্বামী বিবেকানন্দ রোডের আবাসনে আসেন।                       


স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর আগে যাঁকে তাঁরা সাধারণ তৃণমূল কর্মী হিসেবে চিনতেন, সেই অমিত ২০১১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর আপ্ত সহায়ক হন। তখন থেকেই অমিত দে-র নজরকাড়া উত্থান। অমিত দে'র পাশাপাশি ইডি অফিসারদের নজরে রয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাসের ভূমিকাও।                                          
 আরও পড়ুন- ফের জেরা জ্যোতিষ্মানকে, হাজিরা পাচুরও, পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তেও তৎপর ED