সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা :
জেনারেল ডায়েরিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেওয়া থেকে তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া, খবর পেয়েও একঘণ্টা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো, FIR ১৪ ঘণ্টা দেরি, অথচ শেষকৃত্য়ে তাড়াহুড়ো, আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ধৃত, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলল সিবিআই।  দুর্নীতির পর ধর্ষণ-খুনের মামলায় শনিবার সিবিআই গ্রেফতার করে আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ। 


আর জি কর-কাণ্ডে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে সোমবার আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই। মৃত বলে ঘোষণার পরেও জেনারেল ডায়েরিতে চিকিৎসককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই।   


তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, 'সকাল ১০টা নাগাদ জানার পরেও এক ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে যান টালা থানার ওসি। সকাল ১০টা নাগাদ জানার পরেও ১৪ ঘণ্টা দেরি করে মাঝরাতে দায়ের করা হয় এফআইআর'এমনটাই চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের তদন্তে রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই ।  


তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে রবিবারই দাবি করেছিল সিবিআই।  সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আঁতাঁত ছিল বলে দাবি করেছে তারা। এভাবে তারা আদতে তদন্তের অভিমুখই ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। সেই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এসব করে তারা কাউকে আড়ালের চেষ্টা করে থাকতে পারেন!  


রবিবার দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে, শিয়ালদা আদালতের বিচারক পামেলা গুপ্ত, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 


আরও পড়ুন, ইচ্ছে করেই হাসপাতালে দেরিতে আসেন ওসি! দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি উঠতেই তড়িঘড়ি শেষকৃত্য? রিমান্ড লেটারে CBI-এর বিস্ফোরক দাবি 


                                                 
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে