কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড (RG Kar News) নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। নারী স্বাধীনতা নিয়ে তুললেন প্রশ্ন। ১৪ অগাস্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচিকে ("The Night is Ours") সমর্থন করলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। কী বললেন রচনা?
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আর জি কর মেডিক্য়ালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন। তার প্রতিবাদে আন্দোলন, রাতের দখলে মেয়েরা। আর ঠিক সেই সময়ই সেই আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজেই দুষ্কৃতী তাণ্ডব। সবমিলিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। স্বাধীনতা দিবসে বারবার ফিরে আসছে একটাই প্রশ্ন, সত্যিই কি মহিলারা স্বাধীন? এই আবহে এবার নারী স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রচনা বলেন, 'আমি একজনের মা, একজনের মেয়ে। আজকে ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবস। দেশ আমাদের স্বাধীন হয়েছে। আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি বলতে পারেন? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? সারা ভারতবর্ষের মহিলারা কি আজ স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছেন? দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, একটার পর একটা ঘটনা। আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব? এটা সবথেকে বড় প্রশ্ন। এই আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, মুখে আনা যায় না যা ঘটেছে। আমরা প্রতিবাদের সুর তুলেছি। আমরা আওয়াজ তুলেছি, আমরা রাস্তায় হাঁটছি। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরকম একসঙ্গে মহিলাদের আওয়াজ এর আগে আমার মনে হয় না ভারতবর্ষে কখনও উঠেছে। আমি আপনাদের স্যালুট জানাচ্ছি।'
অন্যদিকে বুধবার মধ্যরাতে শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল যখন দিকে দিকে, তারই মাঝে আরজি কর মেডিক্যালেই দেখা গেল দুষ্কৃতী তাণ্ডব। মধ্যরাতে দুষ্কৃতীদের অবাধ স্বাধীনতা, তছনছ করা হল আরজি কর হাসপাতাল। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে হাসপাতাল দাপিয়ে বেড়াল গুন্ডাবাহিনী, দর্শক পুলিশ। হাসপাতাল প্রায় গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ। রড, ইট, কাচের বোতল হাতে গুন্ডাদের হামলা, এখনও গ্রেফতার মাত্র ৯।
হাসপাতাল চত্বর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত গোটা এলাকা ঘণ্টাতিনেক ধরে হয়ে উঠেছিল দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। ভাঙচুর চলল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, HDU, ENT বিভাগ, নার্সিং স্টাফদের ঘর, মেডিসিন স্টোর। তিনতলায় কব্জা সমেত উপড়ে ফেলা হল তদন্তকারী সংস্থার সিল করা দরজা। সিঁড়ি দিয়ে উঠে চারতলার সেমিনার হলেও ভাঙচুর চালানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। আলো নিভিয়ে, চারতলার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে রক্ষা করা হল সেমিনার হল। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অক্সিজেনের পাইপ, ভেন্টিলেটর। ভাঙচুর চলল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যারাক, OC-র ঘর, CC ক্যামেরার সার্ভার রুমে। রেফ্রিজারেটর উল্টে মাটিতে পড়ে নষ্ট হল লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ। পুলিশের গার্ডরেল দিয়েই হাসপাতালের কোলাপসিবল গেট ভাঙল হামলাকারীরা। ভাঙা হল আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। ইটের ঘায়ে জখম হন ১৫ জন পুলিশ কর্মী। মাথা ফাটল মানিকতলা থানার OC দেবাশিস দত্তর। হাসপাতালে ভর্তি DC নর্থ অভিষেক গুপ্ত, জানালেন পুলিশ কমিশনার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।