কলকাতা: রোজভ্যালিকাণ্ডে (Rose Valley Case) এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ১১৭ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি (ED)। সম্প্রতি নতুন করে গৌতম কুণ্ডুর সংস্থার প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে রোজভ্যালির এই সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে। ইডি-র দাবি,বাজার থেকে বেআইনিভাবে কোটি কোটি টাকা তুলে, রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী নামে এই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। ২০১৫-র মার্চে গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে জেলে রয়েছেন রোজভ্যালি কর্ণধার। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা, গত কয়েক মাসে একের পর এক মামলা কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে যা নিয়ে শাসক-বিরোধী মন্তব্যের অন্ত নেই। পান থেকে চুন খসলে সিবিআই ডাকা হচ্ছে বলে উড়ে আসছে কটাক্ষ। কিন্তু আদৌ সিবিআই তদন্তে কোনও লাভ হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্নের শেষ নেই। গতবছরের মাঝামাঝি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকেই এ নিয়ে স্বগতোক্তি করতে শোনা গিয়েছিল। সিবিআই দিয়ে আদৌ কাজের কাজ হবে কিনা, সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন নিজেই। 


তবে এই সন্দেহ যে নিতান্তই অমূলক নয়, সারদা, রোজভ্যালি এবং নারদকাণ্ডেই ইতিমধ্যে্ই তা প্রমাণিত। কোনও ক্ষেত্রে আট বছর পেরিয়ে গিয়েছে, কোনও ক্ষেত্রে পাঁচ বছর। কিন্তু  সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা করা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। ২০১৪ সাল থেকে সারদা ও রোজভ্যালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। নারদকাণ্ডে তদন্ত শুরুর পর পেরিয়ে গিয়েছে পাঁচ বছর। কিন্তু এখনও কোনও মামলাতেই জমা পড়েনি চূড়ান্ত চার্জশিট। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে,সারদা-রোজভ্যালি কি রাজনীতির ইস্যু হয়েই থেকে যাবে? প্রতারিতরা আর কত দিন যন্ত্রণা সহ্য করবেন? উঠেছে প্রশ্নের সমুদ্র।


আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?


 আরও পড়ুন, ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে মৌরী? রোজের মেনুতে উপকরণ রাখলে আর কী কী উপকার পাবেন?


সারদাকাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতে গতবছর আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল। পাল্টা নারদ, কয়লা পাচার-গরু পাচার থেকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস-সহ নানা মামলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। যা তেইশের প্রেক্ষাপটেও চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে মূল প্রশ্ন হল, এই রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ আর কতদিন চলবে? এই মামলাগুলোর সিবিআই তদন্ত কি কোনওদিন শেষ হবে না? প্রতারিতরা কি এভাবেই বছরের পর বছর যন্ত্রণা সহ্য করে যাবেন? আর এই ইস্যুগুলোকে হাতিয়ার করে শুধুই ভোটের লড়াইয়ে রাজনৈতিক দলগুলি ফায়দা তুলে যাবে? তবে একাধিক মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেগ পেয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি।