কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) আটকানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee)। বিমানবন্দরেই তাঁকে নোটিস ধরাল ED। কয়লাপাচার মামলায় (Coal Smuggling ) বৃহস্পতিবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার সূত্রে খবর, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি। 


সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে ক্লিয়ারেন্সের জন্য অভিবাসন দফতরে গেলে বলা হয়, কয়লাকাণ্ডে ED-র মামলায় তাঁর নামে লুকআউট সার্কুলার রয়েছে। তাই তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও এজেন্সির তরফে কারও বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার থাকলে, সেই ব্যক্তি দেশ ছাড়তে চাইলে অভিবাসন দফতরের তরফে সেই সংস্থাকে তা জানানো হয়। এদিনও সেই মতো অভিবাসন দফতরের তরফে রুজিরার বিষয়টি ইডি-কে জানানো হয়। 


এ প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইডিকে জানিয়েই বিদেশ যাচ্ছিলেন রুজিরা। অসুস্থ মা-কে দেখতে যাচ্ছিলেন রুজিরা। বিমানবন্দরে গিয়ে তলবের নোটিস ধরানো অমানবিক বিষয়।' 


কী এই লুক আউট নোটিস? কেন উঠছে বিতর্ক? 


এদিন এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এই লুক আউট সার্কুলার (LOC) বিষয়টি হল- এটি এমন একটি সার্কুলার বা লেটার, যেটা ভারত সরকার ব্যবহার করে থাকে যারা বিদেশে যাচ্ছেন বা বাইরে যাচ্ছেন, ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করে রেখেছে কি না, তা ট্র্যাক করা এবং চেক করার জন্য। এই সার্কুলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে আন্তর্জাতিক বর্ডারগুলিতে, ইমেগ্রেশন চেকপোস্টগুলিতে, আন্তর্জাতিক বন্দর, সমুদ্র বন্দর। ফেরার আসামি কিংবা ক্রিমিনালদের ট্র্যাক করার জন্যই এই লুক আউট নোটিশ বা লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়। কারা দেশে ঢুকছেন এবং বাইরে যাচ্ছেন, ল' এনফোর্সমেন্ট অথরিটি তাঁদের খুঁজছে কি না, এটা জানার জন্য এই নোটিস জারি হয়ে থাকে।'


আইনজীবী এও বলেন, 'যে মামলার কথা বলা হচ্ছে, এসএলপি ক্রিমিনাল নম্বর 2806, 2807 of 2022 - এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক একটা অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। যেটাকে বলা হয়েছিল- ইনটেরিম রিলিফ (অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ)। সেক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, আপত্তি করা হয়নি। কিন্তু যতবারই বিদেশ যাত্রা করবেন, অনুমতি নেওয়ার কথা আইন অনুযায়ী রয়েছে।' 


 


আরও পড়ুন, নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'