সুনীত হালদার, ডোমজুড়: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে (Ukraine) আটকে রয়েছে একমাত্র ছেলে। টিভির পর্দা থেকে চোখ সরছে না মায়ের। আর বাবা মোবাইলে ঘনঘন রাখছেন ছেলের হোয়াটসঅ্যাপ পেজে। দেখছেন নতুন কোনও মেসেজ আসছে কি না। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সুদূর ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিল যে ছেলে, তাঁর জন্য দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের (Domjur) পান পরিবারের।


ইউক্রেনের ভিনিসতিয়া মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সায়ন পান। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সেখানে ভর্তি হন। এখন নিজের দেশে ফিরতে মরিয়া সায়ন। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে নিজেদের উদ্যোগে বাসভাড়া করে ভিনিসতিয়া থেকে ইউক্রেনের রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছেছেন সায়ন সহ একদল ভারতীয় পড়ুয়া। রোমানিয়া থেকে বিমান ধরে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।


পরিবার সূত্রে খবর, বাস থেকে নেমে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে সীমান্তের চেকিং পয়েন্টের কাছে পৌঁছন সায়নরা। অভিযোগ, ভারতীয় দূতাবাসের কোনও কর্মী সেখানে না থাকায়, প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। ইউক্রেনে আটকে পড়া ছাত্রের বাবা বরুণ পান, “ওখানে ভারতীয় এমব্যাসির কেউ নেই। বাঙ্কারে থাকতে হয়েছে। কোনওমতে খেয়ে।’’


সায়নের যাবতীয় তথ্য জানিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পরিবার। জেলাশাসকের দফতর থেকে একবার ফোন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কীভাবে ছেলে ঘরে ফিরবে, এখন তারই উত্তর খুঁজছেন বাবা-মা।


ইউক্রেন-পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিরোধিতা সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, “দেশের মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে আমরা সবাই পাশে আছি। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সবাই জানে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সর্বদল বৈঠক ডাকা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র হিসেবে বিশ্বে শান্তি রক্ষায় ভারতকে নেতৃত্ব দিতে হবে।‘’


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ইউক্রেন-পরিস্থিতি নিয়ে মোদির পাশে মমতা? চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে