মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বাড়ি দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের টেগোর অ্যাভিনিউ। এখন সেখানে ফেরার জন্য মন কেমন। বাইরে যখন বোমা-মিসাইলের আঘাতে কেঁপে কেঁপে উঠছে গোটা ইউক্রেন। নেহা খানের মনে তখন একটাই চিন্তা প্রাণ বাঁচাতে হবে। জীবন বাঁচানোর এই লড়াই এখন চলছে অবিরাম। 


রুশ সেনার আক্রমণে বন্ধ হয়েছে সীমান্ত। আকাশপথে এখন যুদ্ধবিমান, মিসাইলেরা। সড়কে ট্যাঙ্কার, বোমা। ফেরার দিন আপাতত ক্যালেন্ডারেই। যা অবশিষ্ট তা হল টিকা থাকার লড়াই। বাংলার মেয়ের এই লড়াইয়ে মন থেকে রয়েছে সকলেই। নেহা থাকেন  ইউক্রেনের ইভানো শহরে। পড়াশোনার সূত্রেই সে দেশে পাড়ি। কিন্তু ভবিতব্যের গল্পগাঁথায় যে এমন নিকষ দিন দেখতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি। ইভানো ফ্রাঙ্কিভিস্ক ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজ ইউনিভার্সিটি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। এই সময় চলছিল পরীক্ষাও। এরই মধ্যেই আরেক পরীক্ষা। শেষের ডাকে সাড়া না দেওয়ার। 


আরও পড়ুন, টাকা শেষ, নেই শীতের পোশাক! যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সন্ত্রস্ত দিন যাপন বাংলার দুই যমজ বোনের


এদিকে, তাঁর পরিবারের লোকজনও চিন্তিত। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে কেমন আছে মেয়ে, কবে ফিরবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই পরিবারে। এদিকে, নেহা জানিয়েছেন, "আমার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ঘটনা ঘটচ্ছে। আমরা ফ্ল্যাটে বসে বোমা-মিসাইল বিস্ফোরণের শব্দ পাচ্ছি। পরিবারের লোকজন যাতে চিন্তিত না হয় তার জন্য ভিডিও কলে অনবরত কথা হচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে উঠলে ফ্ল্যাটের নিচে নালা দিয়ে একটি সুরঙ্গ দেখানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সেখানে ঢুকে যেতে বলা হয়েছে। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।" 


অন্যদিকে, নেহা খানের বাবা ফিরোজ খান বলেন, আমরা পরিবারের সকলে খুব চিন্তিত। মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করছি অনবরত। পাশাপাশি টিভিতে খবর দেখে যাচ্ছি সারাক্ষণ।            


ইউক্রেনে আটকে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়। সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। এই বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদিও।