আবীর দত্ত, কলকাতা : গ্রেফতার হয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে ( Sandeshkhali ) ধৃত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শিবু হাজরা ( Shibu Hazra ) । প্রশ্ন উঠেছে, এবার শিবুর বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল ( TMC ) নেতৃত্ব?
রবিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। শনিবার শিবু ও শেখ শাহজাহানের আরেক শাগরেদ তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতা উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরই ন্য়াজাট থেকে গ্রেফতার হন শিবু হাজরা। শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। এই শিবুরই বাগানবাড়ি, ভেড়ির অফিস, মুরগির খামার জ্বালিয়ে দেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলারা।
গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশির দিন ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে। যাকে বলে নজিরবিহীন ঘটনা। শয়ে শয়ে লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে ইডি আধিকারিকদের উপর। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যম। আক্রমণের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মারাত্মকভাবে জখম হয় ইডি। সেই থেকে নিখোঁজ শেখ শাহাজাহান। এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সন্দেশখালির সেই বেতাজ বাদশার টিকিটিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ। ইডির তলবেও গরহাজির শাহজাহান।
সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন শিবু হাজরাও। যাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের ভুরি ভুরি অভিযোগ। এবং অভিযোগগুলি মারাত্মক। শিবুর বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচার, হুমকি দেওয়া, শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ তুলেছেন মহিলারা। মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁদের মুখে উঠে এসেছে আতঙ্কে নৈশ মিটিংয়ের কথা। অভিযোগ, রাত হলেই মিটিং-এর নাম করে ডেকে পাঠাতেন শিবু হাজরা। আর তারপর তাঁদের নানাভাবে অপমান, নানা কাজে বাধ্য করা, পছন্দ করা মেয়েদের আলাদা করে বসিয়ে রাখার কথা বলেছেন মহিলারা। শেষমেষ শনিবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। আর তারপরই এই গ্রেফতার।
উত্তম সর্দারকে তো আগেই সাসপেন্ড করে তৃণমূল। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখন শিবুর বিরুদ্ধে কী কোনও ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল নেতৃত্ব? যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও এই অভিযোগের আদৌ ভিত্তি আছে কি না প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এমনটা বলা হচ্ছে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষ নাকি ভয় পাচ্ছিলেন অভিযোগ জানাতে। তাহলে কি সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ এরাও ভয় পাচ্ছিলেন ? তাহলে কি এটা সত্যিই অভিযোগ ? নাকি সাজানো ?
এখন দেখার তৃণমূলের হাইকমান্ড এই শিবপ্রসাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন :