সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের ( Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই হুমকি ফোন পাচ্ছেন। কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানিয়েও কোনও ফল না মেলায়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের দাবি।বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সোমবার শুনানি।                             


নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ : শূন্য থেকে তুলে দলকে বিধানসভায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi Bypolls) ফল ঘোষণার ২০ দিন পর, বুধবার শপথগ্রহণ করলেন বায়রন। সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী ছিলেন তিনি। তৃণমূলকে (TMC) হারিয়ে ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হন। এর আগে ধুলিয়ানের তৃণমূল নেতাকে গালিগালাজ, হুমকির অভিযোগ তোলা হয় বায়রনের বিরুদ্ধে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারি দাবি ওঠে। ধুলিয়ানকাণ্ডে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক (Sagardighi Congress MLA) বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) আগাম জামিন । হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়কের আগাম জামিন মিলেছে গত মার্চ মাসে।                                


এবার বায়রন বিশ্বাস নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। গত ২২ মার্চ বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই হুমকি ফোন পাচ্ছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ এমনকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।                                  


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে সঙ্গে, সাগরদিঘি বিধানসভাতেও জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল তৃণমূল। কিন্তু, দুবছর আগে ৫০ হাজারের ব্যবধানে জেতা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে এবার ২২ হাজার ৯৮৬ ভোটের ব্যবধানে হারেন তৃণমূল প্রার্থী! এই প্রেক্ষাপটে, এর আগে একাধিকবার, জয়ের নেপথ্য়ে বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই, হেঁয়ালির সুর শোনা যায় সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়কের গলায়।


আরও পড়ুন: Walking Fact: পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?